খালেদা জিয়ার জীবনীভিত্তিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
উন্মোচিত হলো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে রচিত বই ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি’। ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের রচয়িতা সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ।
রোববার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানের হোটেল লেকশোরে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, লায়লা এন ইসলাম, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, ইকতেদার কবির, আনোয়ার হাশিম প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর
‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি’ বইয়ে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত তুলে ধরেছেন। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্ম নেওয়া খালেদা খানম পুতুল কীভাবে সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর গৃহবধূর দায়িত্ব ছেড়ে নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গুরুদায়িত্ব- এসবের বর্ণনা আছে বইটিতে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভুত্থ্যানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর প্রায় ৭ মাস পর দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বানে ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। রাজনীতিতে তার আগমন এবং ‘আপসহীন’ নেতৃত্ব, সামরিক এরশাদ সরকার বিরুদ্ধে টানা আট বছরের সংগ্রাম শেষে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার গল্পগুলো তুলে এনেছেন মাহফুজউল্লাহ। তার লেখা এ বইয়ে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে ওই সময়ের ঘটনা ও ঘটনার আড়ালের গল্প। ১৯৯১-এর আগে রাজনৈতিক সংগ্রাম, আন্দোলন এবং ২০০৬ সাল পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে খালেদা জিয়ার জেলজীবন বইটির বড় অংশজুড়ে রয়েছে।
তবে খালেদা জিয়ার গত কয়েক বছরে দলের নেতৃত্ব, ২০১৫ সালের তিন মাসের অবরোধ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিন মাস অবস্থান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবাস— এসব ঘটনার উল্লেখ নেই।
মাহফুজউল্লাহ জানান, খালেদা জিয়ার জীবনী ভিত্তিক বইটি তার সর্বশেষ জীবনীগ্রন্থ। এরপর তিনি আর কোনও ব্যক্তির জীবনী নিয়ে লিখবেন না।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনীগ্রন্থ রচনা করেছেন। ওই বইটির নাম ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ: আ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি’।
/আরাফাত