ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়: জাফরুল্লাহ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, রাস্তায় পোস্টার থাকুক আর না থাকুক। জনগণের মার্কাতেই জনগণ ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়। আজকে এটা জাতীয় মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম কতৃক আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কিথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
জাফরুল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান। তেমনি ধানের শীষ জাতির আকাঙ্খার প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে সেনারা নামবেন। জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের এতোটুকু আস্থা আছে। কারণ তারা কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা বলেন, জনগণ তাদের মনোস্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে লাখে লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদেরকে ভোট দেবে না তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সেদেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফেকসন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ পর্যন্ত সম্প্রতিকালে তিনি প্রতিবারই কথা ভঙ্গ করেছেন, শিষ্টাচার করেছেন। তিনি বলেছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দিবে, জনগণ যদি চায় তাহলেই তিনি নির্বাচিত হবেন। কোনোভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। কিন্তু তিন কথা রাখেননি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন বলে আসছেন নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবেন না। কেননা তাদেরই প্রভাবিত হাইকোর্টের রায়ে একটা ভালো পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেছে। খয়ের খাঁ বিচারপতি খাইরুল হক সাহেব রায় লিখলেন। ১৬ মাস পর রায়ের প্রকাশ হলো। কথা ছিল আরও দু’টা বার তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। সংসদীয় সকলেই এই রায় গ্রহণ করবেন। হাইকোর্টের এই ধরনের রায়ের পরে তারা তড়িঘড়ি করে বাতিল করে দিলেন। বাতিলকালে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন তার অধিনেই হবে। তবে ছোট আকারে নির্বাচনকালীন সরকার হবে। তিনি সংলাপে বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর আর কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। গায়েবি মামলা হবে না।