• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২২

প্রকাশ:  ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:১৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২ জনে। আহত হয়েছেন আরও সাত শতাধিক মানুষ এবং এখনও নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা নিহতের এই সংখ্যার কথা জানিয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ১৬৮ জন বলে জানিয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সুনামির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাভার বানতেন প্রদেশের পান্ডেগলাং এলাকা। এখানে উজুং কুলন ন্যাশনাল পার্ক ও জনপ্রিয় সৈতক রয়েছে। এখানেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৩ জন।

দক্ষিণ সুমাত্রার বান্দার লাম্পুং শহরে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন গভর্নরের কার্যালয়ে।

পান্দেগলাং জেলার বাসিন্দা আলিফ জানান, সুনামির ঢেউ তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু ছিল। এখনও নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ করছেন অনেকেই।

সুন্দা প্রনালীর উপকূলে অবস্থানরত পর্যটক ও স্থানীয়দের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সৈকত থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

আনাক ক্রাকাটাও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সাগরের তলদেশে ভূমিধসের কারণে এই সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের কারণে ঢেউয়ের উচ্চতা অস্বভাবিক বেশি ছিল। ইন্দোনেশিয়ান আবহাওয়াবিজ্ঞান, ক্লিম্যাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সি (বিএমকেজি) জানায়, এ সুনামি কোনও ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়নি। ভূ-গর্ভস্থ ভূমিধসের কারণে হয়েছে। লামপাংয়ের মাউন্ট ক্রাকাতোয়া দ্বীপের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব থেকে এ ভূমিধসের উৎপত্তি হয়েছে।

এই আগ্নেয়গিরিটি জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝামাঝি অবস্থিত। গত কয়েক মাস ধরেই এটা থেকে ছাই উড়ছিল। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় এবং সাড়ে ৯টায় সুনামি আঘাত হানে।

ইন্দোনেশিয়ায় এবছরের ভয়াবহ ট্র্যাজেডির সর্বশেষ ঘটনা শনিবারের সুনামি। এবছই সালওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান। অক্টোবরে জাভা সাগরে লায়ন এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হলে প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হন।

/এসএফ

ইন্দোনেশিয়ায়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close