কোনও কমিশনার এককভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন না: এইচ টি ইমাম

নির্বাচন কমিশনার এককভাবে কোন নির্দেশনা দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেরেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

তিনি বলেছেন, সকালে গণমাধ্যমে একজন কমিশনারের বক্তব্য শুনেছি। আমরা নিজেরাই হতচকিত হয়ে গেছি। একজন কমিশনার এককভাবে কোন নির্দেশনা দিতে পারেন না। যা সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দেবে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কমিশন থেকে বের হয়ে আরেকজন ব্যক্তিগত মত দেবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে চেইন অব কমান্ড মানা হচ্ছে না সেটি আমরা মনে করি না।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, অর্থ এবং পেশি শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। পেশী শক্তি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু অর্থের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। গতকালও বড় একটি চালান এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে। নির্বাচনের অাগের দিন ও পরের দিন টাকা লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা, সেটি দেখার জন্য কমিশনকে বলেছি। ভোট কেনা বেচায় এটি ব্যবহৃত হতে পারে।

এইচটি ইমাম বলেন, এনজিও পর্যবেক্ষণ ব্যুরো থেকে দেখলাম ১১৯টির মধ্যে ৭৫টির নিবন্ধন নেই। অধিকারের বিষয়ে মামলা অাছে, এনজিও ব্যুরো বলছে তাদের নিবন্ধনই নেই। তাদের অাচরণ ও কথাবার্তায় তারা বিকৃত তথ্য দিয়ে যেগুলো রীতিমত নির্বাচন কমিশন নয় রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক। এনফেলের লোকাল চ্যাপটার অধিকার। এর চেয়ারম্যান অাদিলুর রহমানের বিরুদ্ধ মামলাও আছে। এনফেল এবং অধিকার একই।

তিনি আরও বলেন, আমরা যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে বলেছি। সাংবাদিকদের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং মোটরসাইকেলের জন্য যাতে পাসের ব্যবস্থা করা হয় সেটি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়াও অামাদের ও সাধারন মানুষের চলাচলের জন্য শিথিলতা চেয়েছি। কারণ অামাদের কমিশনে অাসতে হবে ও অন্যান্য জায়গায় চলাচল করতে হবে। সে জন্য অামরা যানবাহন চলাচল কিছুটা শিথিলতা চেয়েছি।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে অালোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি আপনারা সবচেয়ে উচু প্রতিষ্ঠান। আমরা টেবিলও চাপড়াবো না আর ধমকও দেবো না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, অাওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্য নির্বাচহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ।

/পিবিডি/আরাফাত