অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে: বিএনপি
বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার রয়েছে তা থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়াকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।
সম্পর্কিত খবর
রিজভী বলেন, বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোন খারাপ পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব, আত্মীয়-স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ তাতে কোনো কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয়-স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান রিজভী।
নতুন মন্ত্রী সভাকে মহাজালিয়াতির নির্বাচনের মন্ত্রীসভা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আগামী নির্বাচনের জন্য সেটিরই পূণরাবৃত্তি করার অঙ্গীরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, বিবেক বিক্রি করা এইচ টি ইমাম সাহেবরা মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন, কত নির্লজ্জ! ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের কাছে মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাবাশ এইচ টি ইমাম সাহেব, আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ, যার পক্ষে আগামী নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কিইবা বলার থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিবেক বিসর্জন দেয়, ন্যায়-অন্যায়ের এথিক্সের ধার ধারেন না কেবল তাদের দ্বারাই পূর্বে সংঘটিত যেকোনো ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তিই হওয়াই সম্ভব। তবে আমি সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই- জনগণের অধিকারের পক্ষে আমাদের উচ্চারণ থামবে না। জনগণের ওপর জবরদস্তি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রতিরোধ । পিডিবি/জিএম