• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে ছাত্র ইউনিয়ন, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

প্রকাশ:  ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৯ | আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৯
আরাফাত খান

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। এক বছরের জন্য কমিটি করা হলেও প্রায় ১০ মাস আগে শেষ হয়েছে এর মেয়াদ। তবু সম্মেলন না করে এখনও পদ আঁকড়ে আছেন শীর্ষ নেতারা। অথচ বর্তমানে তাদের অনেকেরই ছাত্রত্ব নেই, কেউ বিবাহিত, কেউবা চাকরিজীবী।

জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় দুই নেতাসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতার বয়স ত্রিশোর্ধ্ব। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস পরও সম্মেলন না হওয়ায় অনেকেরই ছাত্রত্ব চলে যাচ্ছে। শিক্ষাবর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সংগঠন থেকেও বিদায় নিতে হচ্ছে নিয়মিত সদস্যদের। ফলে আগামী সম্মেলনে নেতৃত্বের নির্বাচন নিয়ে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নানা কারণে আলোচিত দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। প্রায় ১০ মাস আগে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনও সম্মেলন করতে পারেনি তারা। এমনকি তৃণমূল নেতাকর্মীদের বারবার দাবির পরও মেয়াদহীন কমিটি সম্মেলন করে নতুন কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনিয়নের শীর্ষনেতৃত্ব। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বেড়েছে।

২০১৭ সালের ২-৬ এপ্রিল চারদিনব্যাপী ৩৮তম জাতীয় সম্মেলন শেষে জিএম জিলানী শুভকে সভাপতি ও লিটন নন্দীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়নের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। এক বছরের এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের এপ্রিলে।

ছাত্র ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল এক বছর। এ সময়ের মধ্যে সম্মেলন করতে হবে।

কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা বলেন, শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার যেকোনো মূল্যে পদ আঁকড়ে রাখার মানসিকতার কারণেই ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন হচ্ছে না। ফলে ভবিষ্যতে নেতৃত্বে আসতে পারেন এমন কর্মীদের বয়স-ছাত্রত্ব পার হয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংগঠনটির সাম্প্রতিক এক সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি দ্রুত সম্মেলন করে নতুন কমিটি করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। তবে সম্মেলনের কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।

ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে ছাত্র ইউনিয়নের এখনকার অনেক শীর্ষ নেতারই ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। সম্মেলন করে নতুন কমিটি না দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।

তবে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিএম জিলানী শুভ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন একটি নিয়মিত ছাত্রদের সংগঠন। সংগঠনে কোনো বিবাহিত, অছাত্র বা চাকরিজীবী নেই। আমি নিজেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

তিনি বলেন, সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কখনও কখনও সম্মেলন আয়োজনে দেরি হয়। এবারও এমনটা হয়েছে। এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণেও সম্মেলন বিলম্বে হয়েছিল।

জিলানী শুভ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই আমরা সবকিছু করি। সম্মেলনে বিলম্ব হলে গঠনতন্ত্র অনুসারে জাতীয় পরিষদের অনুমোদন নিয়েই মেয়াদ বাড়ানো হয়।

তিনি বলেন, শিগগিরই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

/পিবিডি/একে/এআইএস

ছাত্র ইউনিয়ন,কমিটি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close