• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যবিপ্রবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

প্রকাশ:  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৭
যবিপ্রবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্ট কালের ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে। শনিবার দুপুরে হুমকিদাতার বিচার দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

মানববন্ধনের পর শিক্ষকরা প্রেস কনফারেন্সে করে সাংবাদিকদের ক্লাস বন্ধের ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এসময় ড: ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, গত ৮ জানুয়ারি ৬ টা ৪৫ মিনিটে যশোর শহরের কোন এক নেতা ক্যাম্পাসে নৌকা সরিয়ে র‌্যাগিংবিরোধী পোষ্টার লাগানোর জন্য ফোন করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার পর তিনি ছাত্রলীগের কতিপয় নেতানেত্রীকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কমর্কর্তা কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তারই পরিপেক্ষিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    এ সময় তিনি বলেন, ৭১ সালে যেমন কাপর খুলে দেখানো লাগত, আমি মুসলমান এখন আমাকে কল রেকর্ড শুনিয়ে বোঝাতে হচ্ছে আমি সৎ।

    হুমকির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাম্পাসের নিম্ন মানের কাজের প্রতিবাদ করাই তাকে হুমকির শিকার হতে হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকার কথা জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, যদি আমি দুর্নীতি করি তবে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় নয় এ দেশ ছেড়ে চলে যাব।

    শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড: নাজমুল হোসেন বলেন, যতদিন পর্যন্ত শিক্ষকদের অপমানের বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত কোন ক্লাস, পরীক্ষা হবে না

    দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন ছাত্রলীগ নেত্রীর নেতৃত্বে আজ যা ঘটেছে সেটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তির পরই বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত করা হয়। এবার করা হয়েছে। শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এটা হতে পারে না। আনোয়ার হোসেন বিপুল নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় অধ্যাপক ইকবালকে হুমকি দিয়েছে। বিপুল কোনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল না। সে বহিরাগত। হুমকির বিষয়টি দুঃখজনক।

    অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ক্যাম্পাসে গতবার নতুন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং করা হয়েছে। এবার আমরা আগে থেকে র‌্যাগিং বিরোধী সচেতনতা পোস্টার করেছি। সেগুলো ছিড়ে ফেলা হয়েছে। তারা অভিযোগ করছে, নৌকা ভেঙে ফেলা কিংবা পোড়ানো হয়েছে। তাদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া নৌকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক। নির্বাচনের পর সেগুলো তো সরিয়ে নেওয়ার কথা। তারা যদি সত্যিকারের নৌকার সৈনিক হয়, তাহলে তাদেরই সরিয়ে ফেলা উচিত ছিল। আমি নিজে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে বলেছি নৌকার পোস্টার, বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলতে। তিনি বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা নিয়ে তো ইস্যু করার দরকার নেই।

    তিনি আরও বলেন, আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় চালু থাকবো। আমি শিক্ষকদের সঙ্গে বসবো। তারা ক্লাসে ফিরে যাবে, এটা আমার বিশ্বাস।

    /পিবিডি/একে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close