আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: আহত ২০
মজুরি কাঠামোর বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন দাবি নিয়ে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববারও আশুলিয়া ও সাভারে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন শ্রমিক। বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়ার জামগড়া ও নরসিংহপুরের অন্তত ৫০টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
শ্রমিকেরা জানান, নির্বাচনের আগে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকদের ক্ষোভ বেড়েছে। বেতন বাড়ার খবরেই জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার দিকে বলে দাবি তাঁদের। যার কারণে অনেকে পেটের টানেও সড়কে নামছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া ও নরসিংহপুরে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের সময় শ্রমিকেরা বাসে ঢিল ছুড়ে মারেন। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
বিক্ষোভের কারণে আজ আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।
বিক্ষোভ খানিকটা কমে এলে বেলা ১১টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়। তবে আজ সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম।
বিভিন্ন সড়ক ও কারখানার সামনে সামনে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি।
গত এক সপ্তাহ ধরে আশুলিয়া ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ হচ্ছে।
গতকাল শনিবার আশুলিয়ায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এ সময় সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। এদিন ঢাকার মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে, টোলারবাগ, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। কচুক্ষেত এলাকায় পোশাকমালিকেরা শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশ নিতে না দিলে কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরও করা হয়।
পিডিবি/জিএম