• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সবজির দাম স্থিতিশীল, চড়া মাছের দাম

প্রকাশ:  ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৬ | আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বাজারগুলোতে স্থিতিশীল রয়েছে সবজি, মাংস ও মসলার দাম। তবে নিম্নমুখী হাওয়া বইতে শুরু করেছে চালের বাজারে।

এদিকে,সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে ইলিশসহ প্রায় সবধরনের মাছের দাম।আড়তদাররা বলছেন, নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান ও শীতের কারণে কমেছে ইলিশের যোগান। এরই সুযোগে আড়তদাররা ইলিশের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাইকারদের। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইলিশের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কাপ্তান বাজার,নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে পাওয়া এ চিত্র পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আটাশ, নাজিরশাইল, মিনিকেট ও কাজল লতা চালের দাম গত সপ্তাহের থেকে কেজিতে ১ টাকা থেকে ১ টাকা ৩০ পয়সা কমেছে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে আটাশ প্রতিকেজি ৩৮-৪০ টাকা, নাজির (ইন্ডিয়ান) প্রতিকেজি ৫৪-৫৬ টাকা, মিনিকেট প্রতিকেজি ৫২-৫৪ টাকা এবং কাজল লতা ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর নয়া বাজারের চাল বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, নির্বাচনের আগে চালের দাম কম ছিল। নির্বাচনের পর অনেক বেড়েছে। এখন আবার কমতে শুরু করেছে। মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা ২৫শ ৭০ টাকায় কিনতাম। এখন সেটা ২৫শ ৩০ থেকে ২৫শ ৪০ টাকায় কিনছি।

সবজি বাজারখুব একটা ঝাঁজ নেই পিঁয়াজের বাজারে। ইন্ডিয়ান আর দেশি- দুই ধরনের পিঁয়াজের দামই ২০ টাকার আশপাশে। তবে পাল্লা হিসেবে নিলে ইন্ডিয়ান পিয়াজ কিছুটা কমে পাওয়া যাবে। ইন্ডিয়ান পিঁয়াজের পাল্লা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর দেশি পিঁয়াজের পাল্লা ১০০ থেকে ১১০ টাকা। মরিচে ঝাল থাকুক বা না থাকুক আগের সপ্তাহের মতোই ঝাল আছে মরিচের দামে। প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

এছাড়া দাম প্রায় আগের মতোই আছে মৌসুমী সবজিতে। মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে গোল বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। আর লম্বাগুলোর প্রতিকেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এছাড়াও সিম প্রতিকেজি ২০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাতাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, পিঁয়াজ কলি ২০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা, আলু ১৬ থেকে ২০ টাকা, করল্লা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৫০ টাকা এবং কাঁচা কলা প্রতিহালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ভইত্তা শাক পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকা প্রতি আঁটি। তবে দাম বেড়েছে শসার। গত সপ্তাহেও প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

বাড়তি দামের হাওয়া লেগেছে ডালের বাজারেও।প্রতিকেজি মসুর ডাল পাওয়া যাচ্ছে ৮৬ টাকায়, আর পুরনো ডালের কেজি মূল্য ১০০ টাকা। মুগ ডালের দাম যথাক্রমে ৯০ ও ১১০ টাকা। মিরপুর-১১ নম্বরের ডাল বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহেও এসব ডাল বিক্রি করেছি ৭৪ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। এখন এই দাম। প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। কোম্পানি থেকে দাম বাড়ায়। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে।

বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০০ টাকা (রূপচাঁদা)।আর ৫ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে ৪৮০ টাকায়। আর খোলা তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি ৪৫০-৫০০ টাকা। তবে সরবরাহ কম ও বাড়তি দামের কারণে ইলিশ কিনতে পারেননি পাইকারদের অনেকেই।

বাজারে অন্যান্য মাছের দামও কেজিতে ৩০-৫০ টাকার মতো বেড়েছে। চিতল মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকায়; আইড় মাছ ৬০০-৭০০ টাকা; রুই-কাতলা ২০০-৩০০ টাকা;চিংড়ি মানভেদে ৪০০-৬০০ টাকা; পুঁটিমাছ ১৫০ টাকা আর তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে।

তবে বাড়তি দামের অভিযোগ অস্বীকার করলেন আড়তদাররা। তারা বলেন, কোস্টগার্ড ও পুলিশের ভয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যায় না। তাই বাজারে মাছ কম এবং দামও বেশী।

পিবিডি/জিএম

রাজধানী,বাজার,দাম,স্থিতিশীল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close