• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘বনের রাজা’ ওসমান গণির সাজা আপিলে বহাল

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮ | আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বনের রাজা খ্যাত চাকরিচ্যুত প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণিকে ১২ বছরের সাজা দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ওসমান গণির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান।

পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামি ওসমান গণির করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিশেষ আদালতের দেওয়া রায় বহাল রইল আপিল বিভাগেও।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণিকে ১২ বছরের সাজা দিয়ে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওসমান গণি।

২০০৮ সালের ৫ জুন সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ জজের আদালত সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণিকে দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই আদালত স্বামীকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অপরাধে ওসমান গণির স্ত্রী মহসিন আরা গণিকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওসমানি গণি। কিন্তু ওসমান গণির স্ত্রী পলাতক থাকায় তিনি আপিল করেননি। ওসমান গণি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৫ সালে হাইকোর্টেএবং আজ আপিল বিভাগেও তার সাজা বহাল রাখেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওসমান গনির উত্তরার সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চালের ড্রাম, বালিশ ও তোশকের ভেতর থেকে এক কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। তারা ৪১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্রের সন্ধানও পায়। এরপরই ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসা থেকে ওসমান গনির নামে দুটি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার লকার থেকে ২৯০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ২০ ভরি অলংকারের বৈধ কাগজপত্র ছিল।

দুদক ২০০৭ সালের ১৬ জুন ওসমান গনিকে তাঁর সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয়। ওসমান গনি ২৬ জুলাই তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব জমা দেন।

দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, ওসমান গনি এক কোটি দুই লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তাঁর জ্ঞাত আয়বহিভূর্ত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৪ টাকা।২০০৭ সালের ২৬ জুলাই ওসমান গনি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা করে দুদক।

পিবিডি/জিএম

আপিল বিভাগ,সাজা,প্রধান বন সংরক্ষক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close