শিক্ষককে ট্রাফিক পুলিশের মারধর, থানা ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর
ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমকে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করার ঘটনায ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
এ সময় ৫ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও ৪ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানা ঘেরাও করে থানায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ কয়েকশ শিক্ষার্থী। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।
সম্পর্কিত খবর
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল মোড় ও টাউন হল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের ইংরেজির শিক্ষক শেখ শরিফুল আলমের প্রাইভেটকারের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনা সমাধানে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আসলাম হোসেন এগিয়ে এলে শিক্ষকের সাথে পুলিশ সদস্যের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে ওই শিক্ষককে নগরীর ২ নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক করা হয়।পরে এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুব্ধ কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রথমে টাউন হল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। এসময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে থানার কাচের জানালা ও দরজায় ভাঙচুর চালায়। তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশ ৪/৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনস্থল থেকে ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তানজিল ইসলাম ও এসএম শাহরিয়ার।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনুসুর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিবিডি/পি.এস