• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী আমাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছেন: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ:  ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:১৭
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মন্ত্রী সভার প্রথম বৈঠকেই সব মন্ত্রীকে হুশিয়ার করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে মন্ত্রীরা তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) বিশেষ নজরদারিতেও আছেন।

বুধবার বিকেলে শহরের শিল্পকলা একাডেমীর হাসনরাজা মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন পরিশ্রম করতে হবে সততার সঙ্গে, পরিশ্রম করতে হবে দেশপ্রেমের সঙ্গে, পরিশ্রম করতে হবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।

    এসময় তিনি আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার জীবনের শ্রেষ্ট উপহার আমাকে দিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাকে পরিকল্পনা মন্ত্রালয়ের মন্ত্রী করেছেন। তাই আমার জীবনে এর চেয়ে বড়প্রাপ্তির কিছু নাই। এখন শুধু দেশের মানুষের জন্য জন্য কাজ করে যেতে চাই।

    এম এ মান্নান বলেন, বাংলার মানুষ আমাদের ভালবাসে। আর এর প্রমাণ গত নির্বাচনে আমরা পেয়েছি। মানুষ আমাদের সঙ্গেই থাকবে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমাদের অভিভাবক হয়ে। এই জন্য আমরা মাথানত করে, আমরা নমনীয় হয়ে আমরা এই দেশের জন্য কাজ করে যাব।

    তিনি বলেন, হাওরের প্রকল্পের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব আন্তরিক। তিনি হাওরের মানুষের সব সময় খোজ খবর নেন। হাওরের ধান লাগানো হয়েছে কিনা। সারের কোনও অভাব আছে কিনা। প্রত্যেকটি ব্যাপারে শেখ হাসিনা নিজে খোঁজ খবর নেন। তিনি আমাকে সব সময় বলেন হাওরের কোন প্রকল্প আছে কিনা। থাকলে বলেন। আমি তখন তাকে বলেছিলাম আমাদের একটি মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন। অনেকেই এই প্রকল্পের বিরোধীতা করলেও তিনি তা অল্প সময়ের মধ্যে পাশ করে দেন।

    মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধান মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি সেটি আমাদেরকে করে দিবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি চান। সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ চান। হাওরের মানুষের কষ্ট তিনি বুঝেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা শুধু দেশ স্বাধীন নয় অর্থনৈতিক মুক্তিসহ সব ধরণের স্বাধীনতার জন্য এ দেশ পকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়। কিন্তু ঘাতকরা ৭৫ সালে বঙ্গবুন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সে পথ বন্ধ করে দেয়। পরে আবার যখন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে সে অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়। পরে আবার ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়।

    এম এ মান্নান বলেন, আমি যখন ডিসি ছিলাম তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা তখন আমি তাকে বলেছিলাম আমি আপনার সাথে কাজ করতে চাই। তখন তিনি বলেছিলেন আপনি এই চাকরি ছেড়ে দিবেন কেন। আমি তো আপনাকে বেতন দিতে পারব না। তখন আমি বলেছিলাম আমি বিনা বেতনে চাকরি করব। আমাকে সাফ নিষেধ করা হয় চাকরি ছাড়তে। আমরা সামরিক সরকারের চাপে আছি। আপনি চাকরি করেন। পরে যখন চাকরি শেষ হয়। ঐ সময়ে মারা যান আব্দুস সামাদ আজাদ। পরে সেখানে উপ-নির্বাচন হয় আমি নির্বাচন করতে চাইলে নেত্রী আমাকে বলেন। আমরা তো নির্বাচনে যা বনা। আপনি স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে পারেন। পরে আমি সেই নির্বাচনে হেরে যাই।

    অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পীর মিসবাহ বলেন, সুনামগঞ্জের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষের শক্তির মানুষ। সুনামগঞ্জের মানুষ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনীতির পক্ষে থাকার মানুষ।এই সুনামগঞ্জের মানুষ সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া মানুষ।

    জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আ.লীগের ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এম.বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু, জেলা রেডক্রিসেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.পীর মতিউর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু,মন্ত্রীর এপিএস মোঃ আবুল হাসনাত,জুয়েল মিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী তহুর আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এড.বোরহান উদ্দিন দোলন,সাধারন সম্পাদক সুজন আহমেদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু,খন্দকার মঞ্জুর আহমদ ও ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন।

    পরে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও অ্যাড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে যুবলীগের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

    /পিবিডি/একে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close