• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত চলছে’

প্রকাশ:  ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৯ | আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত চলছে এমন অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজ করে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ৪৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মালয়েশিয়া থেকে তার মরদেহ ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় এনে বনানীতে দাফন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্তগুলো হচ্ছে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য। বিএনপিকে বিভক্ত করে এর শক্তিকে ছোট করে দেওয়ার জন্য এ চক্রান্ত হচ্ছে। এমন চক্রান্ত আগেও হয়েছে কিন্তু বিএনপিকে এখনও পর্যন্ত বিভক্ত করতে পারেনি। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, কোনোদিনই তারা (সরকার) সেটা পারবে না। যতবার বিপর্যয় এসেছে ততবার বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছে এবং নতুন জীবন লাভ করেছে।

তিনি বলেন, এখন রাজনীতি বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে আমাদের অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর রাজনীতিকে ধারণ করে। সেজন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এতো দুর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোবাসে। সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রের শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভয়াবহ যে দানব গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, আমার স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের পরাজিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করবো, তাকে স্মরণ করবো। অন্যদিকে অতিদ্রুত আমরা সংগঠিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন ক্রীড়া অনুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। রাজনীতি থেকে দূরে থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন। বিশেষ করে ক্রিকেটের উন্নয়নে তার অবদান জাতি স্মরণ করবে। কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়নি। তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে মৃত্যূর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে৷

মিলাদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, হালিমা নেওয়াজ আরলিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পিবিডি/জিএম

বিএনপি,মির্জা ফখরুল আলমগীর,নয়াপল্টন,রাজনীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close