ভারতরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রণব মুখার্জি
এবছর ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। এবার ৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ভারতরত্ন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এবার প্রণব মুখার্জি ছাড়াও মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভারতরত্নের তালিকায় আরেকজন বাঙ্গালির নাম যুক্ত হল।
সম্পর্কিত খবর
এই ঘটনার পরপরই তিনজনের ভুমিকা উল্লেখ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রণব মুখার্জি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, 'প্রণব দা, আমাদের সময়কার একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনেতা। তিনি দশকের পর দশক অক্লান্ত ও নিঃস্বার্থভাবে দেশের সেবা করে গিয়েছেন। দেশের উন্নয়নে উনার বড় ভূমিকা রয়েছে। তার বুদ্ধি ও জ্ঞানের কোনও বিকল্প নেই।'
সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা প্রসঙ্গে মোদি বলেন, তার গান প্রত্যেক প্রজন্মেই সমানভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তার গানে ছড়িয়েছে সম্প্রীতিও ভ্রাতৃত্বের বার্তা। তিনি ভারতীয় সঙ্গিতে পরিচিতি দিয়েছেন বিশ্বে।
নানাজি দেশমুখ সম্পর্কে মোদি লিখেছেন, গ্রামোন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। গ্রামের মানুষের জন্য বিশেষ অবদান রয়েছে তার। তিনি সত্যিই একজন ভারতরত্ন।
তার সময়কালে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কার্যকর হয়। ফাঁসি হল আজমল কাসভ, আফজল গুরু ও ইয়াকুব মেমনের। কার্যত এই তিন মৃত্যুদণ্ডে নজির গড়েছিলেন তিনি। এছাড়াও একাধিক অপরাধীর শাস্তি মওকুব করার আবেদন ফিরিয়ে দেন তিনি।
এর আগে বাঙালি হিসেবে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, বিধানচন্দ্র রায় ও অমর্ত্য সেন ও রবিশঙ্কর।
জাতীয় সেবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। এই সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে কলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং ‘সর্বোচ্চ স্তরের গণসেবার স্বীকৃতি’। ভারতরত্ন প্রাপকগণ ভারতীয় মানক্রমে বিশেষ স্থানের অধিকারী। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ এই পুরস্কারের প্রবর্তন করেন।
পিবিডি/আরিফ