নকল ওষুধ কোম্পানিগুলোকে কঠোর হস্তে দমন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন,দেশের আঞ্চলিক বাজারে এখনও অনেক নকল ওষুধ রয়েছে।এসব নকল ওষুধের কারণে ওষুধশিল্পসহ দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মাধ্যমে এসব নকল ওষুধ কোম্পানিগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসি'বি) ‘১১তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি এবং জিপিই এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে চলবে ৩ দিনব্যাপী ।বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রুহুল হক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,দেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯৮ শতাংশ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানির কাছ থেকে আসছে। আমাদের চাহিদাকে এভাবে মিটিয়ে ফেলা অবশ্যই একটি গৌরবের বিষয়। বর্তমানে আমরা ইউরোপ, আমেরিকাসহ ১৫০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছি। আমাদের এই রফতানির মাত্রা আরো বাড়াতে হবে। ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে গার্মেন্টস শিল্পের চেয়ে বেশি উন্নয়ন ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের জিডিপির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ভাগ আসে শিল্প থেকে। তাই এই শিল্পের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এক্ষেত্রে আমাদের তরুণ দক্ষ জনবলকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার এই শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশ সরকার ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি নির্মাণ করছে। যাতে করে এই ল্যাবের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হয়। তখন আমাদের ওষুধ রফতানির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। তাছাড়া এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস) পার্ক হতে যাচ্ছে। যেখানে আপনারা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে পারবেন। পার্ক ছাড়াও সরকার এক্ষেত্রে ইন্সেন্টিভ দিচ্ছে। এই ইন্সেন্টিভসকে কাজে লাগিয়ে আপনারা দেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
জনগণকে কষ্ট দিলে প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেবেন না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করলে কিংবা এক্ষেত্রে কষ্ট দিলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। রোগী যদি হাসপাতাল গিয়ে চিকিৎসক না পায় তাহলে সে কঠোর শাস্তির আওতায় আসবে। এক্ষেত্রে আমরা একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছি। যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে কোনভাবেই চিকিৎসার মতো স্পর্শ কাতর বিষয়ে আঘাত দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পিবিডি/জিএম