স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১টি খাতে দুর্নীতির তথ্য দিলো দুদক
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১টি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির ১১টি খাত ও এসব রোধে ২৫ দফা সুপারিশ নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।
সম্পর্কিত খবর
যে ১১ খাতে দুর্নীতি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া সরঞ্জাম,ওষুধ সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।
এসময় মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি দমনের কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু করে দুদক। এর আগে ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ২৫টি টিম গঠন করা হয়। এরইমধ্যে ভূমি, শিক্ষা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সড়ক বিভাগসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে দেখি অনেক মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন নীতিমালা থাকে না। অনেক মন্ত্রণালয়ের মতো এখানেও পদায়ন নীতিমালা নেই। পদায়নের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি যাতে দীর্ঘকাল অবস্থান করতে না পারে। এভাবে থাকলে একটি সংঘবদ্ধ দল তৈরি হয়ে যায়। এটা যাতে না করা হয়। সঠিক স্থানে সঠিক ব্যক্তিকে যাতে পদায়ন করা হয়, সেই সুপারিশ করা হয়েছে।’
দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে এনবিআর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য কতিপয় মন্ত্রণালয়ের ৭/৮টি রিপোর্ট হস্তান্তর করেছি। আমরা বিশ্বাস করি কর্তৃপক্ষ রিপোর্টগুলো সাদরে গ্রহণ করেছেন। সেখানে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন ও প্রতিকারমূলক কার্যক্রম তারা গ্রহণ করবেন। ফলে এটি দুর্নীতি দমনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এ বিষয়ে দুদক কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। এগুলো কোনো অভিযান নয়, এটি কমিশনের আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম মাত্র।’
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী আছে তা স্টাডি করে দেখব। এটুকু বলতে পারি আগামী দিনগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নত হবে। এলিগেশন যেগুলো আছে, দুর্নাম যেগুলো আছে ইনশাআল্লাহ আগামীতে ঘুচাব।’
প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
/পিবিডি/একে