• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নাইকো দুর্নীতি মামলা

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কপি চেয়ে খালেদার আইনজীবীদের আবেদন

প্রকাশ:  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগার থেকে আদালতে হাজির হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছেন। এরপর তার উপস্থিতিতেই মামলার আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলায় জব্দকৃত আলামত, সিডি ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কপি চেয়ে একটি আবেদন করেন।

এদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার নিজের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিচার হচ্ছে না। আইনি পয়েন্টে মামলার শুনানি শেষ করতে আরও দুটি তারিখ লাগবে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘একটি তারিখে শেষ করতে হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আপনি আপনার পক্ষের শুনানি শেষ করবেন।’

অপরদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নাইকো দুর্নীতি মামলার জব্দকৃত আলামত, সিডি ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কপি চেয়ে যে আবেদন করেন সে বিষয়ে আদালত ‘আদেশ পরে দেবেন’ বলে জানান।

এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আসামি হলেন ১১ জন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এরআগে দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ২টার দিকে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

মামলার পরের বছরের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়।


পিবিডি/এসএম

নাইকো দুর্নীতি মামলা,খালেদা জিয়া,আদালত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close