• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দেশের ৩২% শিশু অনলাইনে সহিংসতার ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

প্রকাশ:  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩২ শতাংশই সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’ উপলক্ষে ইউনিসেফ বাংলাদেশ পরিচালিত ‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে অনলাইনে শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা মোকাবিলা ও প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

সম্পর্কিত খবর

    সম্প্রতি দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার এক হাজার ২৮১ জন স্কুল-বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিশুর উপর জরিপ পরিচালনা করে ইউনিসেফ, যাদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৭ বছর। জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করতে শুরু করে। শিশুদের একটি বড় অংশ (৬৩ শতাংশ) প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান হিসেবে তাদের নিজেদের কক্ষটিকেই ব্যবহার করে। বাংলাদেশে উচ্চমাত্রায় অনলাইনে প্রবেশাধিকারে সুযোগ ও ব্যবহারের দিক থেকে ছেলেরা (৬৩ শতাংশ) মেয়েদের (৪৮ শতাংশ) চেয়ে এগিয়ে আছে। প্রতিদিন গড়ে ৩৩ শতাংশ সময় অনলাইন চ্যাটিং এবং ৩০ শতাংশ সময় ভিডিও দেখায় ব্যয় করে তারা।

    জরিপ অনুসারে, ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অনলাইনে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে। এমনকি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশ তাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে সেই অনলাইন ‘বন্ধুদের’ সঙ্গে সরাসরি দেখা করার কথাও স্বীকার করে।

    ইউনিসেফের মতে, অনলাইনে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে এবং অনলাইনে অনির্দিষ্টকাল ধরে এগুলো থেকে যেতে পারে। অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা অনলাইনে ভয়ভীতির শিকার হয়, তাদের অ্যালকোহল ও মাদকে আসক্ত হওয়া ও স্কুল ফাঁকি দেওয়ার হার বেশি। এছাড়া তাদের পরীক্ষায় ফল খারাপ করা, আত্ম-সম্মান কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে। চরম পরিস্থিতিতে, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন এমনকি আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দিতে পারে।

    ইন্টারনেট একটি নির্দয় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে ইউনিসেফ তরুণ জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব অনুসরণ করছে ও অনলাইনে তাদের প্রতি সদয় হতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। একইসঙ্গে সবার জন্য, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ একটি জায়গায় পরিণত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।’

    ইউনিসেফ জানায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে। অনলাইনে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে এবং অনলাইনে অনির্দিষ্টকাল ধরে এগুলো থেকে যেতে পারে। অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা অনলাইনে ভয়ভীতির শিকার হয়, তাদের অ্যালকোহল ও মাদকে আসক্ত হওয়ার এবং স্কুল ফাঁকি দেওয়ার হার বেশি। এছাড়া তাদের পরীক্ষায় ফল খারাপ করা, আত্ম-সম্মান কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাদের আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দিতে পারে।

    এনই/

    সহিংসতা ঝুঁকিতে
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close