• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ:  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১২ | আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ছাতকে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম এ মামলার রায় প্রদান করেন।

এ সময় রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ (পলাতক), একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের সুজন।

এর আগে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন ধার্য্য করেন বিচারক। শিশু ইমন হত্যা মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুরু হয়। দ্রুত সময়ে রায়ের তারিখ ঘোষণা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী প্রবাস ফেরত জহুর আলী।

আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন, বর্তমানে হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিহতের মা বাবাসহ ২৩ জন।

ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে।

এরপর ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী স্থানীয় মসজিদের ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে এবং জড়িতদের গ্রেফতার পুলিশ।

অপহরণ ও মামলা দায়েরের প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে বাদ দেন আদালত। অপর চার আসামির মধ্যে বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ ছাড়া একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের সুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় সালেহ আহমদ (পলাতক) ছাড়া অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, ইমন হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। লোমহর্ষক এ হত্যার বিষয়ে আমরা আদালতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালতও ন্যায় বিচার দিয়েছেন।

/পিবিডি/পি.এস

সুনামগঞ্জ,স্কুলছাত্র,হত্যা মামলা,মৃত্যুদণ্ড
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close