• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

একুশে পদকের পর এবার এমপি হচ্ছেন সুবর্ণা

প্রকাশ:  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৫ | আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

একুশে পদক পাওয়ার পর এবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা। তিনি ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হবেন।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৪১টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন কুমিল্লা থেকে আনজুম সুলতানা, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, গাজীপুর থেকে রুমানা আলি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, নেত্রকোণার হাবিবা রহমান খান শেফালী, পিরোজপুরের শেখ এ্যানি রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী রাবেয়া আলীম, নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঢাকার নাহিদ ইজহার খান, ঝিনাইদহের খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, চট্টগ্রামের ওয়াসিকা আয়শা খান, পটুয়াখালীর কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনার ঝর্না সরকার, ঢাকার সুবর্ণা মোস্তাফা, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম সাকী, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, ফরিদপুরের রুশেনা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশিদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আনজুম মিতা, কুমিল্লার আরমা দত্ত, খুলনার শিরিনা নাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুরের পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ির নুসরাত, ঢাকার শবনম জাহান শিলা, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার, নেত্রকোণার জাকিয়ার পারভীন খানম, মাদারীপুরের তাহমিনা বেগম, ঢাকার শিরীন আহমেদ ও জিন্নাতুল সংরক্ষিত আসনে মনোনীত হয়েছেন।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়। সভায় দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার এই অভিনেত্রী অনবদ্য অভিনয়ে শিল্পাঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত হচ্ছেন। বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৯ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে।

তিনি ২ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে এবং ক্যামেলিয়া মোস্তফার এই বোন বাংলাদেশের নাট্যজগতে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন।

১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। সুবর্ণা মঞ্চ এবং চলচ্চিত্রেও প্রচুর অভিনয় করেছেন।

নয়নের আলো সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণীর দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। দর্শকদের মাঝে ছিল তার ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা। অনেকের মতে চেহারায় বাঙালি রমনীর শাশ্বত সৌন্দর্যের মৌন রূপ স্পষ্ট এবং স্মিত যৌন আবেদন ও রহস্যময় ঘরানার সৌন্দর্য তার সামগ্রিক সৌন্দর্যকে প্রায় ক্ল্যাসিক রূপ দিয়েছে। আবার অনেকে মতে টিভি পর্দায় তিনি যতটা ভরাট, আকর্ষণীয়, চলচ্চিত্রের পর্দায় তিনি অতটা নন।

তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ঘুড্ডি (১৯৮০), লাল সবুজের পালা (১৯৮১), শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২), আঁখি ও তার বন্ধুরা (২০১৭) বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

১৯৮৩ সালে নতুন বউ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান সুবর্ণা মুস্তাফা ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ডিগ্রী লাভ করেন।

সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনেতা প্রথমে হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ দুই দশক সংসার করার পর ২০০৮ সালে ফরীদির সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন।

/পিবিডি/পি.এস

একুশে পদক,এমপি,সুবর্ণা,জাতীয় সংসদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close