• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

'আইএসে যোগ দেওয়া শামীমাকে ফিরতে দেওয়া হবে না'

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৩ | আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগমকে লন্ডনে ফিরতে দেওয়া নাও হতে পারে বলে জানিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, আমার বার্তা সুষ্পষ্ট। আপনি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থন জানালে আমি আপনাকে দেশে ফিরতে বাধা দিতে দ্বিধান্বিত হবো না। তারপরেও শামিমা বেগম দেশে ফিরলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যারা দায়েশে (আইএস) যোগ দিতে ব্রিটেন ছেড়েছিল তারা পূর্ণমাত্রায় আমাদের দেশকে ঘৃণা করতো। আপনি যদি দেশে ফিরতে সক্ষম হন তাহলে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত ও সম্ভাব্য বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

    ব্রিটিশ দৈনিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৯ বছরের শামিমা বেগম জানিয়েছেন, আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ার যাওয়ার জন্য তার অনুতাপ নেই । তবে অনাগত সন্তানের জন্য লন্ডনে পরিবারের কাছে ফিরতে চান তিনি। শামিমার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে ইতোমধ্যে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

    এদিকে শামীমার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসবিস জানান, শামীমার যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার অধিকার আছে। তবে তাঁকে ইরাক, তুরস্ক বা ওই অঞ্চলের অন্য কোনো ব্রিটিশ দূতাবাসে গিয়ে সাহায্য চাইতে হবে। কারণ সিরিয়ায় কোনো ব্রিটিশ কনস্যুলার সেবা নেই

    পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যে ব্রিটিশ নাগরিকই আইএসে যোগ দিতে বা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য সিরিয়ায় গেছেন, তারা যুক্তরাজ্যে ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত ও সম্ভাব্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

    শামীমার মতো বিপথগামীদের ফিরিয়ে আনতে সরকার পদক্ষেপ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী বা সাবেক সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পাঠিয়ে আমি ব্রিটিশ জনগণের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।

    ২০১৫ সালে বেথনাল গ্রিন একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র শামীমা ও তার সহপাঠী আরেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খাদিজা সুলতানাসহ তিন তরুণী আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। আইএস ঘাঁটিতে ধর্মান্তরিত এক ডাচকে বিয়ে করা শামিমা এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর আগে তার দুটি সন্তান হলেও তারা মারা গেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আশ্রয় পাওয়া শামিমা এখন তার অনাগত সন্তানকে বাঁচাতে চান। আর এর জন্যই তিনি ফিরতে চান লন্ডনে।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close