• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বিএনপির মামলা আমলে নেওয়ার কিছু নেই: কাদের

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বিএনপি প্রার্থীদের করা মামলা আমলে নেওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি আমলে নেওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর, এ বিষয়ের দায়টা বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা এখন আদালতে গিয়ে মোকাবিলা করবে, আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। এটাই নিয়ম। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি মনে মনে মন কলা খেতে পারে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো প্রহসনমূলক নির্বাচন আর বাংলাদেশে হয়নি। কাজেই ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করার কলঙ্কে যারা কলঙ্কিত, তাদের মুখে কোনো নির্বাচনের শুচিতা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি উচিত?

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল যাতে বৃদ্ধি পায়, এ কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিএনপি মনে মনে মন কলা খেতে পারে। এখানে বিএনপি অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়বে, তাতে বিএনপির লাভটা কী? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? আওয়ামী লীগের যদি নৌকা প্রার্থী না জেতে, তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থী জিতবে। সেও তো আওয়ামী লীগের, তাতে বিএনপির লাভ কী?

উপজেলা নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার বা দলীয় সিদ্ধান্ত শিথিল করার কৌশল আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আগে, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আগে, আমি কেউ বিদ্রোহী এই কথাটা বলতে পারি না। কাজেই আগে আমরা দেখছি যে, নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করে। এরপর যদি কেউ বিদ্রোহ করে তখনকার বিষয়টা আমরা তখন দেখব। এখন তো আমাদের যেটা কাজ সেটা হলো প্রার্থীতা জমা দেয়া থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতে হবে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উন্মুক্ত করেছেন তাহলে কি উপজেলা চেয়ারম্যান পদও উন্মুক্ত করবেন- এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দলীয় প্রতীক নেই, কিন্তু উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যাতে করে সেখানে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমরা আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছি, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ আমরা উন্মুক্ত করিনি।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। এদিনে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মেমোরি এত শর্ট না। মানুষ মনে রেখেছে। তারা (বিএনপি) যখন নির্বাচনে জালিয়াতি আর কারচুপির কথা বলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলে, তখন তারা ভুলে যায় যে তারাও এ দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতির নির্বাচন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, দলের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।


পিবিডি/একে

ওবায়দুল কাদের
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close