জেএমবি’র টার্গেট কিলিং গ্রুপের ২ সদস্য গ্রেফতার
রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা করার সময় নিউ জেএমবির দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এরা হলেন- আলামিন (২৭) ও শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদ (২৭)।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মুহিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় নিউ জেএমবির বৈঠক চলছে বলে একটি গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে তা যাচাইয়ের জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর তথ্য যাচাইবাছাই করে মাতুয়াইল মাদরাসা বাজারের মসজিদ থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহকারী পালিয়ে যায়।
সিটিটিসির জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন জানায়, ফেসবুকে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে সে বিভিন্ন উসকানি ও আক্রমণাত্মক লেখা পোস্ট করতো। সাইফ ওরফে বাবুলের হাত ধরে ২০১৫ সালে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয় সে। এরপর বাবুলের মাধ্যমেই উসামা ওরফে তাসকিনের সঙ্গে তার পরিচয়। ওই সময়ে তাদের মাধ্যমে জঙ্গি আব্দুস সালাম, ফয়জুল্লাহ, মিলাদদের সঙ্গে পরিচিত হয় সে। তারা পরস্পরের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, থ্রিমা অ্যাপসের মাধ্যমে কথা-বার্তা বলাসহ যোগাযোগ করতো তারা।
মো. আল আমিন আরও স্বীকার করেছে, সে নিউ জেএমবির সিলেট এলাকার আঞ্চলিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছে। পালিয়ে যাওয়া ২ জন ঢাকা অঞ্চলের নেতা। তাদের সঙ্গে সংগঠনের (নিউ জেমেবির) কর্ম-পরিকল্পনা সংক্রান্তে গোপন বৈঠক করছিল।
এদিকে, আল-আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রাত ৮টার দিকে ডেমরা থানার মীর পাড়া আমুলিয়া রোড হাজী সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ এলাকায়।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পিবিডি/জিএম