গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে দুর্ভোগে বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লিরা
টঙ্গীর তুরাগ তীরে চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার তৃতীয় দিন চলছে। প্রথম দুইদিন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তাদের পর্ব শেষ হয়েছে। তবে আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা। বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত হিসেবে দেখছেন জানিয়ে ইজতেমা মাঠে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত থাকার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে বৃষ্টিতে অস্থায়ী চটে তারা কতক্ষণ থাকতে পারবেন তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন দেশ বিদেশের সা’দ অনুসারী মুসল্লিরা। বাস, ট্রাক, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে আসছেন তারা। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব মুসল্লি।
সম্পর্কিত খবর
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেউ পলিথিন মুড়িয়ে বসে আছেন, কেউ কেউ আবার করছেন রান্নার আয়োজন। এরই মধ্যে মাঠের অনেক স্থানে পানি জমে গেছে, রয়েছে শীতের দুর্ভোগও। বাজার থেকে অনেকে পলিথিন কিনে মালামাল ও নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
তবে আগত এসব মুসল্লিদের অনেকেই বৃষ্টিকে দুর্ভোগ মনে করছেন না। ভারী বর্ষণ হলে তারা আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে থাকতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরও পরকালের শান্তির আশায় ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত মেনে শেষ সময় পর্যন্ত ময়দানে থাকতে চান তারা।
এবার স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে মাঠের অনেক স্থানে বালি ফেলা সম্ভব হয়নি, ময়দানের চারপাশেও বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য সেভাবে ত্রিপাল বা পলিথিনও টাঙ্গানো সম্ভব হয়নি। নানা দুর্ভোগ ও প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশ বিদেশ থেকে আসা সাদ আনুসারি তাবলীগ জামাতের কর্মীরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী দুদিনেই শেষ করতে চান এবারের ইজতেমা। তাদের আশা, শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে তারা ইজতেমা সম্পন্ন করতে পারবেন।
ইজতেমার মুরুব্বি আশরাফ আলী জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াসেকুল ইসলামের অনুসারি তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা ভোর থেকে তাদের মালামাল নিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেন। তারা ময়দানের ৮৪টি খিত্তায় বিভক্ত হয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফজরের নামাজের পর থেকে বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজ। বাংলায় তর্জমা করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা আব্দুল্লাহ। পরে শীর্ষ মুরুব্বিদের বিশেষ বৈঠক মাশোয়ারার মাধ্যমে আখেরি মোনাজাতের বক্তা এবং আমবয়ানের বক্তাসহ অন্যান্য বক্তা নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে চারদিন ব্যাপী ইজতেমার প্রথম দুদিন জোবায়ের অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নেন। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাদের ইজতেমা। পরে প্রশাসনের নির্দেশনায় শনিবারের মধ্যেই জোবায়ের অনুসারীরা মাঠ ত্যাগ করেন। এর পর থেকে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
/এসএইচ