ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের নামে তামাশা চলছে: খন্দকার মোশাররফ
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের নামে তামাশা চলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পুলিশের কাছে তালিকা থাকা সত্ত্বেও আবার নতুন করে মামলা দেয়া হচ্ছে, যাতে আইনের ফাকফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। কারণ তারা ক্ষমতাসীনের লোক।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির (মহিলা বিষয়ক সম্পাদক) আয়োজনে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন: প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের মাতা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। অতএব, এ দেশের সব দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, বিচারালয় আজ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এখানে মানুষ বিচার পায় না। কারণ, দেশে আছে স্বৈরাচারী সরকার, একনায়কতন্ত্র সরকার। একনায়কতন্ত্র থেকে, স্বৈরাচারী থেকে এই দেশকে মুক্ত করতে হবে। আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আর এই দায়িত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে যে শাসনামলে উপস্থিত হয়েছি, তা গণতান্ত্রিক সরকার তো দূরের কথা পৃথিবীর কোনও সরকার গঠনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। নির্বাচন হওয়ার কথা ৩০ ডিসেম্বর, কিন্তু ২৯ তারিখেই ভোট ডাকাতি হয়েছে।
মোশাররফ বলেন, এই দেশের জনগণের ওপরে সরকারের সামান্যতম বিশ্বাস নেই। যদি থাকতো তবে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতো। তারা জানতো, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে এবং সুযোগ পায় তবে আওয়ামী লীগের বহু জায়গায় জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনের বেশি পাবে না। সেজন্যই তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদিকা রাশেদা বেগম হীরা, দলের নারী বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা এবং হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
/পিবিডি/একে