• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

চকবাজারে আগুন: উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা

প্রকাশ:  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের ১৪ ঘণ্টা পর আগুন নিভিয়ে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য মতে মোট ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৪১ জন। এরমধ্যে ৩২ জন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি ৯ জন ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন।

    সাঈদ খোকন বলেন, আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়েছে। এরপরও ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট থাকবে। যাতে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এজন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

    এর আগে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়ি হাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে তা আশেপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট চারঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়।

    প্রথমে অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণের পর পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতেই একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিথর ঝলসানো দেহ। পরে ১১, ১৬, ৪৯... সর্বশেষ ৭০; এভাবেই বাড়তে থাকে মৃত মানুষের সংখ্যা।

    বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ জানান, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

    এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও শোক এবং সমবেদনা জানানো হয়েছে।

    সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাভেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে রাস্তা সরু, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নেই, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, বৈদ্যুতিক ওয়ারিং এলোমেলো। সব মিলিয়ে এখানে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া এলপিজি, ন্যাচারাল গ্যাস, ইলেকট্রনিক ও কেমিক্যাল হ্যাজার্ড তো ছিলই।

    তিনি বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর কেমিক্যাল পল্লী হওয়ার কথা ছিল, এখানে গভীর রাতে কেমিক্যালের কাজগুলো হতো। ঘরের মধ্যে কে কী কাজ করতো তা জানার কথা নয়। এটা একটা ভালো নিউজ দিয়েছে, ‘ওয়েক আপ কল’ দিয়েছে যে তোমরা সতর্ক হও, এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনা আসছে।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close