• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

১৫টি মরদেহের জন্য ডিএনএ নমুনা দিলেন ২০ স্বজন

প্রকাশ:  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলেও বাকি ২১টি মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। লাশ শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে নিহত লোকজনের স্বজনদের। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন টিম।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নমুনা দিতে আসেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশের সন্ধানে আসা স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৫টি মরদেহের জন্য ২০ জন স্বজন এসে তাদের ডিএনএ নমুনা দিয়ে গেছেন।

সম্পর্কিত খবর

    এক ব্রিফিংয়ে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, নিয়মিত মৃতদেহের নমুনা দিয়ে শনাক্ত করা হলেও অগ্নিদগ্ধদের ক্ষেত্রে তা সময়সাপেক্ষ। যারা ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন, তাদের রক্ত ও মুখের ভেতর থেকে কোষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহ থেকে হাড় ও দাঁতের নমুনা নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ শনাক্ত করতে এক থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। আগামীকাল (শনিবার) পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বুথ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

    মৃতদেহের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রে মা-বাবা বা স্বামী, স্ত্রী বা সন্তানকে আসার অনুরোধ করেছেন সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট। তাদের কাউকে পাওয়া না গেলে ভাই বা বোন আসতে পারেন।

    জানা গেছে, চারজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। ১৫ জনের লাশ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে, তিনজনের লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এসব লাশের নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে।

    ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা বলেন, তারা ৬৭ জনের লাশ পেয়েছেন। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন উল্লেখ করা হয়।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের লাশ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close