বিএনপি নেতারা তখন খালেদার খোঁজ নিচ্ছিলেন
রাজধানীর চাঁনখারপুল থেকে নাজিমউদ্দিন রোড কয়েকবার বাঁক তুলে সোজা চলে গেছে চকবাজারে। ওই সড়কের একপাশে উঁচু প্রাচীর নিয়ে দাঁড়ানো পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার। এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে সেখানে বন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আসামীদের বাচ্চাদের জন্য একসময় ব্যবহৃত ডে কেয়ার সেন্টারের দুটি রুমে তার সঙ্গী গৃহকর্মী ফাতেমা। বেশ কিছুদিন ধরেই ৭৩ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শরীর ভালো যাচ্ছে না।
দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড হয়েছে। একাধিক মামলায় বিচার চলছে। এজন্য কারাগারের ভেতরেই স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ আদালত। কারামেয়াদ আরো দীর্ঘ হচ্ছে সেটা স্পষ্ট।
সম্পর্কিত খবর
চকবাজারের চুড়িহাট্টা থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার খুব বেশি দুরে নয়। বুধবার দিবাগত রাত ১০টার কিছু পরে খবর আসে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় আগুন লেগেছে। শুরুতে অবশ্য বোঝা যায়নি, অগ্নিকাণ্ড যে এতটা ভয়াবহ রূপ নেবে। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আগুনের তীব্রতা। আসতে থাকে একের পর এক মর্মান্তিক আর মর্মন্তুদ সব খবর। সকাল হতে হতে লাশের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছায় ৮১তে। নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছাকাছিই চুড়িহাট্টা এলাকা। যে কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও তৈরি হয় এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। নানা মাধ্যমে তারা খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেন খালেদা জিয়ার অবস্থা জানার।
এরআগে সন্ধ্যায় বিএনপির একটি আলোচনা সভায় দলটির একদল কর্মী দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি। তারা সভায় হট্টগোলও করেন। বলেন, প্রয়োজনে কমিটি ভেঙে দেন। ওই দিন সকালে আদালতে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি অসুস্থ অবস্থায় হুইলচেয়ারে করে আদালতে এসেছেন। এখন গুরুতর অসুস্থ তাই আসতে পারছেন না। চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খালেদা জিয়া কোনো ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন কি-না জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে একজন কারা কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এনই/