• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ অনেক চ্যালেঞ্জিং’

প্রকাশ:  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২৩ | আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বলেছেন, নিয়মিত মৃতদেহ থেকে আলামত নিয়ে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা সহজ হলেও পুড়ে যাওয়া দেহগুলো থেকে স্যাম্পল নেওয়া সময়সাপেক্ষ এবংঅনেক চ্যালেঞ্জিং। পোড়া দেহ থেকে প্রোফাইলিং করতে আমাদের সময় লাগবে।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তবে কতদিন সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, কতদিন সময় লাগবে, এটা একেবারেই বলতে পারব না। এটা সম্পূর্ণরূপে আলামতের ওপর নির্ভর করে।

সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে—জানতে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট বলেন, আমরা তো ল্যাবরেটরিতে নিয়মিত প্রোফাইলিং করছি। সে ক্ষেত্রে একমাস থেকে ছয় মাসও লাগতে পারে। সর্বোচ্চ দ্রুততায় আমরা এই কাজটি করবো।

জানা গেছে, আজ ১৮টি মৃতদেহ শনাক্তের জন্য ৩০ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবারও এ কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার সকাল ১১টার আগে মর্গে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। চলে রাত সাগে আটটা পর্যান্ত। সেখানে তারা স্বজনদের রক্ত ও মুখের ভেতরের কোষ নিয়েছেন। আর বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করার সময় সেখান থেকে হাড় ও দাঁত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, ২১টি মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে আমাদের জানানো হয়েছে। এগুলো ডিএনএ দ্বারা শনাক্ত করতে হবে। এই ২১ মৃতদেহের সংশ্লিষ্ট দাবিদার অর্থাৎ স্বজনরা যাদের মৃতদেহ খুঁজে পাননি, আমাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

কার কার নমুনা নেওয়া হচ্ছে—জানতে চাইলে নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, আত্মীয় হিসেবে আমরা চাই, প্রথমত যেন বাবা-মা আসেন। কিন্তু আজও আমরা নমুনা নিয়েছি অনেক ভাই-বোনের। কিন্তু ভাই-বোনের নমুনা খুব একটা কাজ করে না। আমরা চাই বাবা-মা জীবিত থাকলে যেন তারা আসেন। বাবা-মা যদি জীবিত না থাকেন, তাহলে মৃতদের সন্তান অথবা মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তান আসেন। তারা কেউ না এলে তখন ভাই-বোনরা আসতে পারেন।

নুসরাত ইয়াসমিন আরও বলেন, মর্গের সামনেই জেলা প্রশাসনের তথ্যকেন্দ্র। তার পাশেই ডিএনএ স্যাম্পল কালেকশন বুথ। আমরা আজ কাজ করছি, আগামীকালও বসতে পারি। তবে আগামীকালের হয়তো বুথ রাখা হবে না। তবে, ল্যাবরেটরি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। পরবর্তী সময়ে মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি ভবনে চলে আসতে পারবেন তারা।

এদিকে, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার আলী আজম জানান, তারা ৬৭ জনের লাশ পেয়েছেন। এরমধ্যে ৪৬ জনেরে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পিবিডি/জিএম

ডিএনএ প্রোফাইলিং,সিআইডি,সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন,চকবাজার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close