আরও দুইজনের লাশ শনাক্ত
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরও দুইজনের পরিচয় মিলেছে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও একই গ্রামের মো. জাফর আহমেদের মরদেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার।
সম্পর্কিত খবর
চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৬৭টি মরদেহের মধ্যে ৪৮ জনের পরিচয় মিলেছে। বাকি ১৯ জনকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য জানিয়েছেন চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) (ডিএমপি-ঢাকা) মুনশি আবদুল লোকমান।
তিনি জানান, সকালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও একই গ্রামের মো. জাফর আহমেদের মরদেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার। মঞ্জুর মরদেহ নম্বর ৪১ ও জাফরের ৬১। তাদের মরদেহ দেখে শনাক্ত করা করেছে। তাদের ডিএনএ নমুনাও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনও ১৯ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি।তাদের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বড় ভাই সাজ্জাদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার দিন সারা দিনই তাঁর ভাই তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। পুরো দেহ পুড়ে গেলেও কনুইয়ের কাছে জামার একটি টুকরো ও পরনে ট্রাউজারের একটি টুকরো ছিল। তা দেখে তিনি ভাইকে শনাক্ত করতে পেরেছেন।
আনোয়ার হোসেনের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ছিল। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা জানান, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ মৃতদেহের দাবিদারকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশটি হস্তান্তর করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পিবিডি/জিএম