• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ছাত্রী হলগুলোতে শক্ত অবস্থানে ছাত্র ইউনিয়ন

প্রকাশ:  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৩ | আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর তালিকা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাঁচ ছাত্রী হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বি বলতে শুধু ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রীরাই। ছাত্রদল বা অন্য কোনো সংগঠন প্রার্থী দিতে পারেনি। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও অধিকাংশের তেমন পরিচিতি নেই। ফলে শক্ত অবস্থানে আছেন ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রীরা।

জানা গেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ১ জন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৩৮৩ জন ছাত্রী। যা মোট ভোটের প্রায় ৩৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯৮৪ জন ভোটার রয়েছেন শামসুন নাহার হলে। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে রোকেয়া হলে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭১৮ জন, শামসুন নাহার হলে ৩ হাজার ৯৮৪ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩ হাজার ৪৬০ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হলে ২ হাজার ২৫২ জন ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ১ হাজার ৯৬৯ জন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুফিয়া কামাল হলে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতা কাজী মালিহা সামিহা সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ও সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) সুদীপ্তা মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই হলে ছাত্রলীগের বাইরে কেবল ছাত্র ইউনিয়নেরই শক্ত অবস্থান রয়েছে। রংপুরে জন্ম নেয়া মালিহা ইংরেজী বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। হলে কলা অনুষদ কেন্দ্রীক ভোট ব্যাংক রয়েছে তার। কারুশিল্পের শিক্ষার্থী সুদীপ্তা মণ্ডলের আছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক।

ভোটের মাঠে কতটা এগিয়ে জানতে চাইলে কাজী মালিহা সামিহা বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সবসময় মাঠে থেকেছি।ফলে আমি এগিয়ে আছি বলে মনে করি। ভোট সুষ্ঠু হলে শিক্ষার্থীরা আমাকেই নির্বাচিত করবে।

রোকেয়া হলে ভিপি পদে প্রার্থী দেয়নি ছাত্র ইউনিয়ন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির কলা অনুষদের নেত্রী মুনিরা দিলশাদ ইলা। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। সাতক্ষীরায় বেড়ে ওঠা এই নেত্রীর খুলনার আঞ্চলিক ভোট ব্যাংক রয়েছে। ছাত্র স্বার্থের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থেকে পরিচিতি তৈরি করেছেন।

মনিরা দিলশাদ ইলা জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত গণসংযোগ করছি। আশা করছি, ছাত্র ইউনিয়নের প্যানেল থেকে জয়ী হবো। ভোটের পরিবেশ কেমন দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলগুলোতে এখনও সহাবস্থান নিশ্চিত হয়নি। তবে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে একইপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অর্থনীতি বিভাগের আরশিয়া তাবাসসুম কাব্য। ছাত্র ইউনিয়নের এই নেত্রীও পড়াশোনা করেছেন হলিক্রসে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় পরিচিতি পেয়েছেন বেশ। সেই পরিচিতি কাজে লাগাচ্ছেন ভোটের মাঠে।

ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আরেক নেতা ঐশ্বর্য আহমেদ। তিনি ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। হলেক্রসের সাবেক শিক্ষার্থীদের ভোট ব্যাংক তার পক্ষে কাজ করতে পারে।

শামসুন্নাহার হলে অবস্থান সুসংহত হলেও মূল পদে প্রার্থী দেয়নি দলটি। মূল পদে সমমনা জোটের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন তারা। তবে সম্পাদকমণ্ডলীতে আনিকা আনজুম অর্ণিসহ ছাত্র ইউনিয়নের কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পিবিডি/এআইএস

ডাকসু,ছাত্র ইউনিয়ন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close