• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘যে কারণে ডাকসুতে ছাত্রলীগ সমর্থিতরা নির্বাচিত হবে’

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০১৯, ১৪:২২ | আপডেট : ০২ মার্চ ২০১৯, ১৫:২৫
আশরাফুল আলম খোকন
ফাইল ছবি

২৮ বছর পর অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলবেন এবং যথাযত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করবেন। সুতরাং শিক্ষার্থীদেরকে এমন প্রতিনিধিই নির্বাচিত করা উচিত যাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যোগাযোগ সহজ এবং কার্যকর।এবং দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের কাজ সহজ হয়।

এই সবকিছু চিন্তা করে শিক্ষার্থীরা ভোট দিলে তাদের ভোট বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমর্থিত, সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ মনোনীত শোভন-রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদেরই পাওয়া উচিত। আরো অনেক কারণ রয়েছে, একটু পিছন ফিরে তাকালেই বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আসুন একটু পিছন ঘুরে আসি। এইতো কিছুদিন আগেও বাইরের মানুষ জনের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটি আতঙ্কের নাম। চারদিকে অস্ত্রের ঝনঝনানি। হল গুলো ছিল মিনি ক্যান্টনমেন্ট। অভিবাবক শিক্ষার্থী সবাই আতংকে থাকতেন। গুলির শব্দ ছাড়া অনেকেরই ঘুম হতোনা। কিন্তু বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে কেউ কোনো গুলির শব্দ শুনেছে কিংবা ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দেখেছে বলতে পারবে না। ক্যাম্পাসকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার এই কৃতিত্ব কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ও ছাত্রলীগেরই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরেকটি মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে আবাসন ও পরিবহন সমস্যা। এক টাকা বেতন বৃদ্ধি না করেও ৯৬-২০০১ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে হল, সুফিয়া কামাল হল, বেগম ফজিলাতুনেসা মুজিব হল, এছাড়া এই মেয়াদেও বিজয় একাত্তর হল নির্মাণ, রোকেয়া হল এবং জগন্নাথ হলে নতুন বৃহৎ আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছেন। পরিবহন সমস্যা সমাধানেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বাস।শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যও অনেক সুউচ্চ ভবন এখন ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান। ৯০ এর সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট সরকারও ২বার ক্ষমতায় এসেছিলো, কই তারাতো দশটা ইটও ক্যাম্পাসে বসায় নি, এমনকি কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন যত সাবজেক্ট তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মনোনীত প্রশাসনই করেছে। যার ফলে নিত্য নতুন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া ছাত্র শিক্ষকদের গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্ধ বৃদ্ধি শেখ হাসিনারই অবদান। একটা সময় ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর চাকুরী খুঁজতে খুঁজতে জুতা ক্ষয় হয়ে যেত, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০/৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রাবস্থায়ই চাকুরী করে। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত বিসিএস হয়েছিল মাত্র ১টি। আর এখন প্রতিবছর গড়ে ১টি করে বিসিএসের নিয়োগ হয়।

কারন বললে আরও অনেক বলা যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেহেতু আর ৮/১০ মতো নয় অনেক মেধাবী ও সচেতন, সেই হিসাবে বলা যায় তারা ভালো মন্দ তাদের লাভ লোকসান হিসাবে করেই ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলকেই নির্বাচিত করবে।

(লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)


/পিবিডি/একে

আশরাফুল আলম খোকন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close