• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও হতাশাব্যঞ্জক: টিআইবি

প্রকাশ:  ০৬ মার্চ ২০১৯, ২০:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বক্তব্যকে অমূলক ও বিভ্রান্তিকর এবং হতাশাব্যঞ্জক বলে অভিহিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার (৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, দুদক কর্তৃপক্ষ টিআইবির কর্মপরিধি ও কার্যক্রম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বলেই ধারণা করতো টিআইবি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তা ভুল প্রতীয়মান হয়েছে।

টিআইবি কোনোভাবেই ‘একচোখা’ নয়; টিআইবির সব অবস্থান, প্রতিবেদন ও বক্তব্য সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ও বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রণীত গবেষণাপ্রসূত ও নিরপেক্ষ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, টিআইবি শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও খাতের সুশাসনের ঘাটতি এবয় দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে ঘাটতি চিহ্নিত করে না, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্যা উত্তরণে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা দেয়। তাছাড়া, টিআইবি প্রণীত প্রতিটি গবেষণা প্রতিবেদনেই সংশ্লিষ্ট খাতের বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ইতিবাচক অর্জনগুলো অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ টিআইবির গবেষণালব্ধ সুপারিশ ও অধিপরামর্শমূলক কাজের ফলশ্রুতিতে যে দুদকের সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি দুদক ভুলে যায়, তাহলে সেটা হবে দুঃখজনক। অধিকন্তু, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব উল্লেখযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নীতিগত সংস্কার এবং ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তার প্রায় সবক্ষেত্রেই টিআইবির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

ড. জামান বলেন, আগ্রহী যে কারো জন্য টিআইবির আয়-ব্যয়ের হিসাব সংক্রান্ত নথিপত্র সর্বদা উন্মুক্ত। দুদক যদি টিআইবির আর্থিক প্রতিবেদনসহ সার্বিক কার্যক্রমের ব্যাপারে কোনোরূপ সন্দেহ প্রকাশ করে, তাহলে দুদক সহজেই টিআইবি সম্পর্কে তদন্ত করে দেখতে পারে। আমরা দুদককে এ ব্যাপারে পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুদকসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা বিষয়ে যে কোনো ধরনের মন্তব্য বা বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে টিআইবি সর্বদা বস্তুনিষ্ঠভাবে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, টিআইবি সরকার অনুমোদিত কর্ম-পরিধির মধ্যে থেকেই সরকার তথা দুদকের সহায়ক শক্তি হিসেবে দেশে সুশাসন নিশ্চিত ও দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমসহ অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের সহযোদ্ধা হিসেবে দুদকের যেকোনো গঠনমূলক পরামর্শকে টিআইবি স্বাগত জানায়।

তিনি বলেন, টিআইবির গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা নতুন কিছু নয়, এটা এখন আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। তবে, দুদকের মতো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যার আইনগতভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকার কথা, যখন একই সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত হয়, তখন তা সতিই দুঃখজনক। টিআইবি বিশ্বাস করে, সমালোচনা সহ্য করার মতো সৎসাহস দুদক অর্জন করবে। আর যা-ই হোক দুদক কোনো রাজনৈতিক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়!

পিবিডি/জিএম

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ,দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক),নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close