সংসদে যোগ দেয়ায় সুলতান মনসুরকে ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী প্রার্থী সুলতান মনসুর জাতীয় সংসদে যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ঐক্যফ্রন্টের বাকি সদস্যরাও সংসদে আসবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আশা প্রকাশ করেন।
সম্পর্কিত খবর
সমাপনী ভাষণের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সুলতান মনসুরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন সংসদে এসেছেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি বাকিরাও চলে আসবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত নেতাদের বলবো, জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংসদে আসুন, যতো কথা বলার আছে বলুন, আমরা কোন বাধা দেবো না।
প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণবন্ত এবং সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু সংসদকে পরিণত করার জন্য তারা চেষ্টা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নতুন সংসদ সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, যারা নতুন এসেছেন তারা নিশ্চয়ই এখান থেকে কাজ শিখবেন।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন।
এছাড়া তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতি বন্ধের জন্যও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার বিজয় জনগণের ভোটের রায়ে হয়েছে। জনগণ আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিয়েছে কারণ আমরা জনগণের কাছে আগে যে ওয়াদা দিয়েছিলাম সেটা রক্ষা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণ সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এগুলো দেখতে চায় না। এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আমরা যে উন্নয়ন করেছি তাতে জনগণের আস্থা জাগ্রত করতে পেরেছি। এসব কারণেই তারা আমাদের ভোট দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছে। এবার ভোট পড়েছে ৮০ ভাগ। তখন বিএনপি-জামায়াত মিলে মাত্র ২৮টি সিট পেয়েছিল। সেটা বোধ হয় তারা ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, এবার তারা দেখাতে পারেনি কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা বানালো দলের চেয়ারপারসন। একজন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আরেকজন পলাতক। জনগণ কাকে ভোট দেবে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবে তা জনগণকে দেখাতে পারে নাই। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি।
খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দলের চেয়ারপারসন দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন একজন দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। জনগণ তাদের কেন ভোট দেবে। এ কারণেই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। জনগণ যাচাই করে ভোট দেয়।
বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছে। এজন্য লন্ডন থেকে টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অনেক প্রার্থী ছিল মনোনয়ন দিলে তারা জিতে আসতো। কিন্তু টাকা দিতে পারেনি তারা মনোনয়ন পায়নি। যারা জনগণের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে তারা সংসদে এসে কথা বলুক এটা আমরা চাই। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ যারা প্রথমবার ভোটার, নারী ভোটাররা ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরাও যারা নির্বাচনের সময় দেশে আসতে পারেনি তারা স্কাইপি, বিভিন্নভাবে দেশে তাদের আত্মীয় স্বজন যারা আছে তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলে।
পিবিডি/জিএম