• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চকবাজারে প্রাণ হারান দোলাও, মরদেহ শনাক্ত

প্রকাশ:  ১২ মার্চ ২০১৯, ২০:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৯ দিন পর শনাক্ত হলো সংস্কৃতিকর্মী রেহনুমা তাবাসসুম দোলার মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের মধ্যে রয়েছে দোলার মরদেহও।

সম্পর্কিত খবর

    জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শিল্পকলা একাডেমি থেকে একসঙ্গে কবিতা আবৃতির অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন দুই বান্ধবী। এরপর থেকে হঠাৎ নিখোঁজ দুজন। পরে পুলিশ জানায়, অগ্নিকাণ্ডের দিন রাত সোয়া ১০টায় ফাতেমার মোবাইল সর্বশেষ বেগমবাজারের লোকেশনে ছিল। এ তথ্যে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে দুই পরিবার। অবশেষে তাদের শঙ্কাই সত্য হল। দুজনই চুড়িহাট্টার পাশ দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় প্রাণ হারান।

    ৬ মার্চ সিআইডি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বৃষ্টির পরিচয় শনাক্ত করে। আর আজ শনাক্ত হলো দোলার মরদেহ।

    সিআইডি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দোলার বাবা দলিলুর রহমান দুলালের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এটি মিলে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটিই তার মরদেহ। মরদেহ হস্তান্তরের জন্য ইতোমধ্যে শনাক্তদের পরিচয় চকবাজার থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    বৃষ্টির ভাই মোস্তাফিজুর বলেন, বৃষ্টি ও দোলা চতুর্থ শ্রেণি থেকে একসঙ্গে অগ্রণী স্কুলে পড়েছে। এরপর সিটি কলেজে একসঙ্গে এইচএসসি। পরবর্তীতে দোলা মিরপুর বিওপি কলেজ ও বৃষ্টি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ভর্তি হয়। তা সত্ত্বেও তাদের বন্ধুত্বে কমতি হয়নি। এমনকি তাদের পরিবারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে। ওরা যে এভাবে একসঙ্গে হারিয়ে যাবে কল্পনাও করিনি।

    উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬৬ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও চারজন। পুড়ে যাওয়া লাশ শনাক্ত ২২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় স্বজন দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।


    /পিবিডি/একে

    চকবাজার ট্রাজেডি
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close