দেশের মানুষকে ধোঁকা দিতেই আরসিবিসি’র মামলা: আইনমন্ত্রী
নিজেদের দেশের মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
৬ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ম্যানিলার মাকাতি সিটির রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্টে ১৯ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি মানহানি মামলা দায়ের করে আরসিবিসি। অভিযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘প্রকাশ্য ও প্রবল আক্রমণ’ করায় আরসিবিসির মানহানি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ফিলিপিন আরসিবিসি কর্মকর্তাদের যে আচরণ সেটা আমার কাছে সত্যিকারের আইনি আচরণ বলে মনে হয়নি। আর আমার মনে হয় মামলাটি তারা তাদের নিজেদের দেশের মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য করেছে। কারণ আরসিবিসিকে ফিলিপাইন সরকার তাদের সিনেটে পর্যন্ত এই হ্যাকিংয়ের কারণে দায়ী করেছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় তারা যদি কোনো মামলা করে থাকে তাহলে সেটা মান হানিকর কিছু নয়।
নির্বাচনী ইশতেহারে প্রান্তিক পর্যায়ে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়ার কথা আছে। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে আদালত গঠনের কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলাতে আদালত গঠনের কোনো চিন্তা নেই। ১৯৮২ সালে উপজেলা পর্যায়ে আদালত ছিল, তবে এখন সেটি করার চিন্তাভাবনা নেই। আমরা যেটি করছি একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি উপজেলার জন্য পদায়ণ করছি। যাতে সেই উপজেলায় যে মামলা করে, সেগুলো ওই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যায় এবং তড়িৎ মামলাগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়।
আনিসুল হক আরও বলেন, শুনানির কথা বলছি না এই কারণে, অনেক মামলা আছে তার কার্যক্রম শুরু হয় বড়। এটা শেষ হওয়া দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়। তাই মামলাটি বিচার শুরুর ব্যাপারে একজন ডেজিগনেটেড মেজিস্ট্রেট উপজেলার জন্য, সেটা দিয়ে আমরা যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। সেই কারণে উপজেলা পর্যায়ে মেজিস্ট্রেট পাঠানোর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।
হলি আর্টিজান মামলার অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের মামলার বিষয়ে আমি জাপানের রাষ্ট্রদূতকে আপডেট দিয়েছি। মামলাটা বিচারাধীন। এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মনে করেছেন এই ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া অপরিহার্য। আমার মনে হয় আমরা এই বিচারের বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে।
এই বিচার কার্য শেষ করতে কতদিন লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বিচারকার্য চলাকালে সাব জুডিশিয়াল মামলায় অগ্রীম কোনো কথা বলি না।
/অ-ভি