ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ ভিসির কাছে দিল অনশনকারী শিক্ষার্থীরা
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে ভিসি কার্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণসহ অভিযোগপত্র জমা দেন। উপাচার্য তাদের অভিযোগের প্রমাণগুলো খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ছয় অনশনকারী শিক্ষার্থী সকাল সোয়া ১০টায় তার কার্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর উপাচার্য তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে কয়েকজন সহকারী প্রক্টর এবং রিটার্নিং অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
অনশনকারী ছয় শিক্ষার্থী হলেন- রাফিয়া তামান্না, আল মাহমুদ তাহা, সোহেল মাহমুদ অনন্ত,মাইন উদ্দিন আহমেদ, তাওহীদ তানজিম, রবিউল ইসলাম।
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে তারা বলেন, আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগের প্রমাণ জমা দিয়েছি। তিনি আমাদের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু তার আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারণ তিনি আমাদের বার বার বিগত বছরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেছেন সেগুলোতে অনেক রক্তারক্তি হয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। আমরা তাকে রোকেয়া হলের ঘটনায় যে অজ্ঞাত মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। তিনি শুধু আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সময় মাইন উদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাতে চাই যে ২৫ হাজার ভোটার যে ভোট দিয়েছে, তার স্বাক্ষর করা তালিকা চাই। আর ভোট গণনা করতে কেন এত সময় লাগলো তার কৈফিয়ত চাই।
এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হন। পরে সাড়ে এগারোটার দিকে তারা মিছিল নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে, রোববার (১৭ মার্চ) ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্যানেলের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন বাতিল, পুনঃতফসিল ঘোষণা, ভিসির পদত্যাগ দাবি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের শাস্তি প্রদান। তবে সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক ছিল। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও ছিল স্বাভাবিক।
পিবিডি/এআইএস