‘দেশে যারা গণতন্ত্র চলতে দিচ্ছে না, তারা বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করছে’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যাদের কারণে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে না তাদের চিহ্নিত করে একঘরে করতে হবে ।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে চাই, তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই, তাহলে আমাদের জীবন উৎসর্গ করার শপথ নিতে হবে। সেজন্য পাড়া মহল্লায়, গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে, ঘরে ঘরে শপথ নিতে হবে।
সম্পর্কিত খবর
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোববার (১৭ মার্চ) ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।
ড. কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানাতে হলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে না তাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য আছে কিনা, সে প্রশ্ন করার সময় এসেছে। এদের একঘরে করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে যে এরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য কম মানুষ জীবন দেয়নি, এখনও জীবন দিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানাতে হলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শপথ নিতে হবে যেন সত্যিকার গণতন্ত্র দেশের মানুষ ভোগ করতে পারে। আপনারা গণতন্ত্র চান। এটা কেন শুনতে হচ্ছে। কেন ভোটাধিকার চান। কেন আমাদের জিম্মি থাকতে হয়।
জনগণের স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন মন্তব্য করে ড. কামাল বলেন, জনগণের স্বপ্নকে তিনি লিপিবদ্ধ করে গেছেন সংবিধানে। তার স্বপ্ন ছিল রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক। কিন্তু দেশে কি ষোলো আনা গণতন্ত্র আছে? অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশে হচ্ছে? আইনের শাসন আছে? এ সময় দর্শক আসনের সবাই না বলেন। এরপর কামাল হোসেন বলেন, কেন আমাদের না শুনতে হচ্ছে। ৪৮ বছর পরেও না, না শুনতে হবে কেন?
এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী বছর এ ধরনের আলোচনা সভায় আমরা যেন বলতে পারি, দেশে ষোলো আনা না হোক বারো আনা গণতন্ত্র আছে। আইনের শাসন আছে, এ জন্য আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় এটা পৌঁছে দিতে হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল হক খান কামাল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোকাব্বির খান, ড. রেজা কিবরিয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন প্রমুখ।
পিবিডি/জিএম