অস্ত্রসহ বিমানবন্দরে আ.লীগ নেতা আটক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করায় দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজহারুল আনামকে আটক করা হয়েছে। তার সঙ্গে ৩৪ রাউন্ড রাইফেলের ও ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি পাওয়া যায়।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার একটি ফ্লাইটে তার কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল।
সম্পর্কিত খবর
বিমানবন্দর এভিয়েশন সিকিউরিটি অপারেশনের পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিক একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় মাজহারুল আনামের কাছে গুলি থাকার বিষয়টি তিনি ঘোষণা করেননি। স্ক্যানিংয়ের সময় তার হ্যান্ড ব্যাগে গুলিগুলো ধরা পড়ে। পরে তাকে তার নির্ধারিত ফ্লাইটে কক্সবাজার যেতে দেওয়া হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে এভিয়েশন সিকিউরিটির অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে থেকে পরে বিমানবন্দর পুলিশ স্টেশনের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ)হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ফের অস্ত্র নিয়ে ঢোকায় মুজিবুর রহমান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
আটক মুজিবুর রহমান ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া, তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বলে দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ অস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিযোগে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা।আটক মেহেদী মাসুদ যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই-চেষ্টার ঘটনায় প্রাপ্ত খেলনা পিস্তলের তদন্ত শেষ না হতেই গত ৫ মার্চ লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিন পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন দাবি করেন, স্ক্যানিং মেশিনে অস্ত্র শনাক্ত না হওয়ায় তিনি নিরাপত্তকর্মীদের বিষয়টি জানান। তবে তার বক্তব্যকে অসত্য বলে মন্তব্য করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেসময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়।
পিবিডি/জিএম