ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
তৃতীয় ধাপেও সাড়া নেই ভোটারের
পঞ্চম উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও ভোটারের সাড়া মেলেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষ ও অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল চারটার দিকে শেষ হয়। আগের দুই ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম।
সম্পর্কিত খবর
ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল ও একটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কেন্দ্র দখলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে নৌকা ও আনারস মার্কার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৮-১০ আহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগে ভোট বন্ধ করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়াও কোনও কোনও কেন্দ্রে ভোট সাময়িক স্থগিত করা হয়।
এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
এছাড়া রবিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও সামগ্রিকভাবে গত দুই ধাপের নির্বাচনের মতো এবারও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
নির্বাচন কমিশন জানায়, তৃতীয় পর্যায়ে সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১১৭টি উপজেলায় ১ হাজার ৩৭৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৫৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০৪ জনএবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১৪ জন।
অন্যদিকে, এসব উপজেলায় মোট ভোটার ছিলেন ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৮ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ১০ হাজার ১৮টি। তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে কয়েকটি উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় ধাপে ১২৭টি উপজেলায় নির্বাচনের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে মামলাজনিত কারণে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের লোহাগড়ার নির্বাচন স্থগিত; নরসিংদী ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ভোট চতুর্থ ধাপে স্থানান্তর এবং বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, নরসিংদীর পলাশ এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সব কয়টি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেগুলোতে ভোটগ্রহণ হয়নি। ফলে ১১৭টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে।
ইসির সিদ্ধান্ত আনুযায়ী, উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট আগামী ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।
পিবিডি/এআইএস