ইতিহাস বিকৃতকারীরা ক্ষমার অযোগ্য : ড. মোশাররফ
স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে যারা লুকোচুরি করে বা ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা কোনোভাবে ক্ষমার যোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায়, তারা স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করে মানুষকে অন্যপথে পরিচালিত করতে চাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
সোমবার (২৫ মার্চ ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোশাররফ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন, এটা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না।আমার কাছে ৩৬টি বইয়ের রেফারেন্স আছে। এই বইগুলো বাংলাদেশের, বিদেশের এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের মন্তব্য রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক যে জিয়াউর রহমান এটা সকলে স্বীকার করেছেন। আওয়ামী লীগ স্বীকার করে না। তারা ইতিহাস বিকৃত করছে।
তিনি বলেন, আজকে দেখেন, বলা হয় ৭ মার্চ নাকি স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হল কেনো? এটা ইতিহাসের কথা, আমরা কথা নয়। ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ মেহেরপুরের আম্রকাননে ঘোষণায় বলেছিলেন, ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
মোশাররফ বলেন, তাহলে ৭ মার্চ যদি স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতারাই তো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন পর্যন্ত এটা প্রতিষ্ঠিত। তাহলে এই স্বাধীনতা কে ঘোষণা করেছেন? ১৭ এপ্রিল তাজউদ্দিন আহমদ সাহেব আম্রকাননে ঘোষণা করেছেন যে, ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, ৩৬টি বইয়ে এটাই প্রমাণ মেলে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বলতে চাই, জিয়াউর রহমানের নাম এয়ারপোর্ট, জাদুঘর থেকে মুছে দেয়া হয়েছে। জিয়ার নাম কখনো মুছে ফেলা যাবে না। এ দেশের মানুষের অন্তরে জিয়ার নাম প্রথিত। ইতিহাস বিকৃত করে তাকে মুছে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, এই সরকার জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে ভয় পায়। সেজন্য তারা এই দলের বিরুদ্ধে, এই দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এতে কোনো কাজ হবে না।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এজেএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, কাজী আবুল বাশার, আহসানুল্লাহ হাসান, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আনোয়ার হোসেইন, মামুন হাসান, হেলেন জেরিন খান, এজমল হোসেন পাইলট বক্তব্য রাখেন।
পিবিডি/জিএম