• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি ‘আলোর মিছিলে’

প্রকাশ:  ২৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০১ | আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৯, ০২:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য এক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে । কিন্তু সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। আর তাই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল পর্যন্ত ‘আলোর মিছিল’ করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শুরু হয় আলোর মিছিল। ভয়াল সেই কালরাত্রির ৪৮তম বছরে এসে শহিদদের স্মরণে ৪৮টি মশাল প্রজ্বালন করা হয়। এসময় সবাই ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানে কণ্ঠ মেলান। পরে বের করা হয় ‘আলোর মিছিল’। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়করা।

রাত সাড়ে ৯টায় মশাল ও মোমবাতি হাতে আলোর মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গণকবরে উপস্থিত হন সবাই। এ সময় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে নিহত শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু সময় নীরবতাও প্রদর্শন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

আলোর মিছিল শুরুর আগে শহীদ মিনারের মূল বেদিতে গণহত্যা দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা করেণ বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরের ২৫ মার্চ যে গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদাররা, তা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায় হয়ে আছে। বাঙালির শরীর থেকে এই গণহত্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি। আমরা তাই আজ এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিশ্ব সম্প্রদায় এই দাবির বিপক্ষে যাবে না।’ এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন বাকিরা।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির লড়াইকে থামিয়ে দিতে পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে ঢাকায় ছাত্র-পুলিশ-নাগরিকসহ অসংখ্য নিরীহ ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে হত্যা করা হয় আরও ৩০ লাখ মানুষ। কেড়ে নেওয়া হয় দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমও।

পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিয়মিত আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বক্তারা।

কেবল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারই নয়, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরেও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার শিকার নিরীহ বাঙালিদের স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এসময় এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন জোটের নেতারাও ।

পিবিডি/জিএম

আলোর মিছিল,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,গণহত্যা,কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close