তাসনিম রিফাতের তিনটি কবিতা
লিখন
উড়তে থাকা কাগজ আর তুলতে থাকা জল,
সম্পর্কিত খবর
হাওয়ার ভেতর ফরফর,
সমুদ্র, তার নিশানা হারিয়েছে বহুদূরে;
চোখের কোণে এখন ঘোড়ার খুরের মতো ঢেউভঙ্গিমা,
হারাবার কিছু নেই,
নেই কাগজ, নেই ছলনেই অপরাহ্ন পথ- সব শেষ,
কেটে গেছে দিন-কাল-রাস্তা কাঁচির আক্রমণে। .
বোকা বোকা অভিধানের শব্দ
তুমি অসুখ সারাতে চাও হোমিও প্রভাবে
অথচ যা ভাষা আছে,
যতো লিখন প্রক্রিয়া
হাতের তালুতে তোলা জলগড়িয়ে পড়ছে।
অবলোকন
তোমাকে দেখার জন্য একজোড়া বিবর্ধিত চোখ দীর্ঘকাল তুলে রেখেছি।
নিস্পন্দ বিন্দুর মতো নীরব থাকা নয়-
বরং জেগে উঠি যেকোন বিস্তারে,
প্রাচীন ধ্বনিতরঙ্গ ভেসে আসলে
আমিও চলে যাই ফসিলের কালে,
লোকে তারে স্মৃতিময়তা বলে?পড়ন্ত বস্তুর মতো যা কিছু অর্জন কর তুমি-
যে ঘৃণা, হতাশা ও ভালোবাসা,
তার কতটুকু জমিয়ে রাখতে পারো?
তার কতটুকু সমগ্র ক্ষেত্র জুড়ে অধীর জেগে থাকে?জেনেছি, মানুষ পায়না দেখা কোন প্রকৃত আলোর, তাই সে অনুবীক্ষণ-দূরবীক্ষণ প্রভৃতি বানিয়ে থাকে।
কবিতা ও জীবন
.
জানুয়ারিতে আমরা শৈশব নিয়ে লেখবো,
তারপর চারমাস যথাক্রমে সুখ ও দুঃখ
কেমন করে আমাদের ভেতরে ঢুকে আর বেরিয়ে আসে।জুনে প্রেমিক হয়ে উঠবো সকলে
বৃষ্টি আর সাদা কুয়াশাজনিত দুর্বলতা বেড়ে যাবে,
তারপর নভেম্বর অবধি আমরা ডাইরিতে জীবনের কথা
লেখতে গিয়ে কেউ চেয়ার থেকে পড়ে যাবো, কেউ
টিকটিকিতে রূপান্তরিত হবো, কেউবা কাঁদতে কাঁদতে
একটি সমুদ্র হয়ে যাবো।ডিসেম্বরে আমরা কিছুই লেখবো না,
সেই শীতে আমাদের কবরে শোয়ানো হবে,
আমাদের সকল কবিতা পুড়ে যাবে তাপে।পিবিডি/ এইচকে