ঈস্পিতা অবনী চৌধুরীর প্রেমের কবিতা "আমি শান্তনুকে'ই ভালোবাসি"
আমি শান্তনুকে'ই ভালোবাসি
সম্পর্কিত খবর
ঈস্পিতা অবনী চৌধুরী
একটি ফুল কিংবা ঘাসপাতা
কিংবা নদীর ঢেউ, কিংবা পদ্মফুল
কিংবা একটি ভাসমান চিতার কাঠ
কিংবা সাইড পকেটের বকুলে হাত পড়ে যাওয়া
কিংবা একটি পোকার মন্থর হাঁটন
কিংবা একটি শিশুর কাঁদন।
এমন যেকোন কিছুই,
আত্মহত্যার ইচ্ছে থেকে নিমেষেই বাঁচিয়ে দিতে পারে।
যেমন আজ ২৪শে নভেম্বর শান্তনুর মলিন মুখ
বাঁচিয়ে দিলো আমাকে।
ট্রেনের নিয়মে ট্রেন চলে গ্যালো।
এতো হাওয়া থাকে গাড়ির তলায় !
এতো তুফান !
তালগোল পাকিয়ে যাওয়া,
কিংবা শোণিতস্নাত খণ্ড খণ্ড দেহাংশ ধমকে দিলো আমাকে।
তারা এমন করলো যে,
আমি এক দৌড়ে নিকটতম কোনো গলির মধ্যে পালিয়ে গেলাম।
আর সে-কী কাঁপছিলাম আমি!
পথচারীরা আমাকে দেখছিলেন।
এক ভদ্রমহিলা আমাকে,
পাশের শিব মন্দিরের বারান্দায় বসিয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন -
- কী হয়েছে !
সত্য বলার এতো বড়াই আমার,
সেই আমি কিচ্ছুটি বলতে পারিনি আজ।
অবশেষে ফিরছিলাম,
যেখানে ফিরছিলাম তাকে কী বলে আমি জানি না,
সেখানে কী আমার প্রিয় পুরুষ থাকে?
প্রাণাধিক আত্মজা?
কী জানি, তেমন নিবিড় করে একটি গোটা জীবনে
আমার কিছুই জানা হয়নি।
জীবন এবং সম্পর্ক এমন দুরধ্যয়
কিংবা কিছুতেই অপাবৃত পুঁথিটি নয়।
আমি মরণ থেকে ফেরার পথ জুড়ে
শান্তনুর মঞ্জুহাসের মলিন মুখখানিই দেখতে পাচ্ছিলাম।
কেমন ঘোরের মধ্যে মনে হলো,
আমাদের কী শ্যামনগর যাওয়ার কথা ছিলো?
আচম্বিতে মনে হলো নিজের সঙ্গে নিজেই কথা বলে যাচ্ছি আমি।
তবে কী আমি পাগল হয়ে গেলাম !
কী বলছিলাম আমি?
দেখা গ্যালো একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছিলাম শান্তনুর সাথে।
খুব সুস্থির হয়ে গেলাম,
আমি শান্তনুকেই ভালোবাসি। শুধু শান্তনুকে।
ভাবছি, বাড়ি ফিরেই সেই জীবনদায়িনীকে নিয়ে
একটি টুকুটকে লাল ফড়িঙের মতন চপল ও লাবণীর প্রেমের কবিতা লিখবো....পিবিডি/ হাসনাত