• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বিক্রি বাড়ায় খুশি প্রকাশকরা

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্যবারের তুলনায় এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার গতিপ্রকৃতি কিছুটা অন্যরকম। শুরুতেই দুটি ছুটির দিন হওয়ায় এবার বিক্রির হিসাব-নিকাশটাও অনেকটা বদলে গেছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার প্রথম দিনেই ভালো বিক্রি দিয়ে শুরু হয়েছে প্রাণের এই বইমেলা। দ্বিতীয় দিন শনিবারও ছুটির দিন হওয়ায় এই দিনেও বিকিকিনি ছিল বেশ ভালো। এখন পর্যন্ত মেলায় আসা উল্লেখযোগ্য নতুন বইয়ের মধ্যে কথা প্রকাশ নিয়ে এসেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সময় বহিয়া যায়’, শাকুর মজিদের ‘বুয়েটকাল’, ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ এনেছে হাসান আজিজুল হকের ‘স্মৃতিকহন’। প্রথমা প্রকাশ করেছে আনিসুল হকের নতুন উপন্যাস ‘এই পথে আলো জ্বেলে’, জাভেদ হুসেন অনূদিত সাদত হাসান মান্টোর ‘কালো সীমানা’, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস এনেছে খসরু চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের বাঘের গল্প’।

এ ছাড়াও সময় প্রকাশন নিয়ে এসেছে মো. মশিউর রহমানের ‘সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসা’, অ্যাডর্ন প্রকাশ করেছে তানিয়া হোসেনের ‘ফেরাউনের জনপদ’, অন্যধারা প্রকাশনী এনেছে সাদাত হোসাইনের নতুন উপন্যাস ‘নির্বাসন’, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য-মধ্যপ্রাচ্য, কামরুল হাসানের ‘মুক্তিযুদ্ধ ফিরে ফিরে ডাকে’ এবং অনন্যা এনেছে মোস্তফা মামুনের ‘রাজু ভাই মাইনাস শেলী আপা’।

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আগামী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গণি বলেন, ‘এর আগে অন্যান্য বছরগুলোতে প্রথম দিকে এক সপ্তাহ-দশদিন বিক্রয় কম থাকলেও এরপর থেকে বইপ্রেমীদের উপস্থিতির পাশাপাশি মেলায় বিক্রির পরিমাণও বেড়ে যায়। কিন্তু এবার প্রথমেই দুটি ছুটিরদিন হওয়ায় শুরু থেকেই সেই চিত্রটা কিছুটা পাল্টেছে। যদিও এর পরের কয়েকদিন আবার ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা যায়। এখনো অধিকাংশ পাঠকই মেলায় এসে বই নেড়েছেড়েই দেখছেন। তবে অন্য বছরের তুলনায় বিক্রি অনেকটা উর্ধ্বমুখি।’

অন্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের মেলার পরিবেশ অন্য যেকোনো বারের চেয়ে ভালো এবং নান্দনিক। গত বছরের বিক্রয় ডেটাবেইস তুলনা করলে শুরু থেকে বিক্রিও অনেকটা ভালো। গত ৮দিনে মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থও প্রকাশ পেয়েছে। এটিও উল্লেখযোগ্য একটি ব্যাপার। এখন থেকে প্রতিদিনই মেলায় ভিড় বাড়ছে। বাড়ছে বিক্রিও। এ থেকে আমরা দারুণ আশাবাদী।’

জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এ বছর শুরু থেকেই মেলায় বেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থা মনে হয়েছে। এরই মধ্যে বইমেলা জমে উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মেলায় আসা নতুন বইয়ের সংখ্যাও আশানরুপ। যদিও গুরুত্বপূর্ণ সব বই মেলার প্রথম সপ্তাহেও চলে আসে। দু-চারদিন পর থেকেই মূল বিক্রিটা শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে। গেলবারের তুলনায় এবার মেলার সার্বিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো।’

ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের অন্যতম পরিচালক আদিত্য অন্তর বলেন, ‘এবারের মেলার পরিবেশ অনেক সুন্দর। পাঠক-দর্শনার্থীরা ভালো পরিবেশ পেলে যেমনি স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারেন তেমনি দেখেশুনে বই কিনতেও তাদের সুবিধে হয়। এবার তেমনি একটি পরিবেশই বিরাজ করছে। এবার আসলে মেলার যেই ডায়াগ্রাম করা হয়েছে সেটি পাঠক-দর্শনার্থী এবং প্রকাশকদের জন্যও বেশ সহায়ক।’

পিবিডি/রবিউল

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,শাকুর মজিদ,হাসান আজিজুল হক,আনিসুল হক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close