• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বইমেলা প্রাণস্পর্শী ও আনন্দময় হোক: আনজীর লিটন

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:৪৩ | আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:৫২
রবিউল কমল

আনজীর লিটন। দীর্ঘদিন লিখে যাচ্ছেন শিশুদের জন্য। শিশসাহিত্যিক হিসেবে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন বাংলা সাহিত্যে। বর্তমানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালকরে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হয়েছেন পূর্বপশ্চিম প্রতিবেদকের। কথা বলেছেন বইমেলা ও আনুসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

পূর্বপশ্চিম: শিশু একাডেমী বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে?

সম্পর্কিত খবর

    আনজীর লিটন: বই প্রকাশের ক্ষেত্রে শিশু একাডেমী শিশুদের মনোজগতকে প্রস্ফুটিত করে এমন বিষগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এজন্য মূলত বাংলাদেশ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, সাহিত্য সব বিষয়ের বইয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    পূর্বপশ্চিম: শিশুদের বইগুলো কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

    আনজীর লিটন: শিশুদের জগত কল্পনার জগত। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার অদ্ভুত মিশেলে শিশুদের মনোজগতে এমন একটা জগত তৈরি হয়ে আছে যা একান্তই ওর। সেখান ওর জন্য একটা নিজস্ব ভাষা আছে। আছে ব্যাকরণ। আছে রঙ। তবে ওই জগতে বাস করে তারই চেনা-জানা চরিত্ররাও। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে বনের পশু-পাখি কিংবা জলের মাছ সবাই থাকে ওর কল্পানর জগতে। ওরা কথা বলে, গাইতে জানে, নাচতেও জানে। একইসঙ্গে শিশুদের জগতে থাকে বিজ্ঞান, তথ্য, হাস্য-কৌতুক এবং রঙ ছড়ানো প্রকৃতি। মোটকথা শিশুদের জন্য বইয়ের জগতে আছে সীমাহীন বিষয়, রঙিন বৈচিত্র্য। ইচ্ছা পূরণের জন্য শিশুরা তার কল্পনার জগতে হাঁটতে-হাঁটতে পেরিয়ে যায় এক বন থেকে আরেক বনে, দূরের তেপান্তরে। গল্পের ভাষায় দৃশ্যকল্প তৈরি হয় বটে তাই বলে ছড়া-কবিতা থেকেও বাদ পড়ে না এমন দৃশ্যকল্প। আমি মনে করি ছোটদের বইয়ে কল্পনার রঙিন জগতের প্রকাশ থাকা জরুরি। বড় হয়ে ওঠার কথা থাকতে হবে। থাকতে হবে মানবিক হয়ে ওঠার গল্পও। ছোটদের বই শেখাতে পারে দেশপ্রেম ও নৈতিকতার আদর্শ। সবমিলিয়ে শব্দে, বাক্যে, বর্ণনায় বইয়ের প্রতিটি রচনা হতে হবে শিশুর জন্য, শিশুদের কল্যাণে।

    পূর্বপশ্চিম: এসব বইয়ের অলঙ্করণ কেমন হতে হবে?

    আনজীর লিটন: শিশুদের বইয়ের প্রাণশক্তিই হচ্ছে অলঙ্করণ। এসব অলঙ্করণে রঙের যথাযথ ব্যবহার থাকা যেমন জরুরি তেমন জরুরি চরিত্র বুঝে ফিগার ড্রয়িং। এছাড়া যে বিষয়ের ওপর অলঙ্করণ হচ্ছে সেই বিষয়টিও স্পষ্টভাবে ফুটি উঠছে কিনা সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

    পূর্বপশ্চিম: এ সময়ের তরুণরা কেমন লিখছেন?

    আনজীর লিটন: এখনকার তরুণরা অনেক প্রতিশ্রতিশীল। তারা অনেকেই খুবই দারুণ লিখছেন।

    পূর্বপশ্চিম: নতুন লেখকদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

    আনজীর লিটন: আমার পরামর্শ হলো লেখার আগে ডেডিকেশন এবং কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। তারপরে আমি কী বলছি, কী বলতে চাচ্ছি এটা আগে ভিতরে অনুভব করতে হবে। তারপর প্রকাশ করতে হবে।

    পূর্বপশ্চিম: এবার কেমন বইমেলা প্রত্যাশা করছেন?

    আনজীর লিটন: বরাবার যা প্রত্যাশা করি এবারও তাই প্রত্যাশা করছি। ২০১৯ বইমেলা প্রাণস্পর্শী ও আনন্দময় হোক।

    আনজীর লিটন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close