পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের ইন্তেকাল
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর। পরদিন তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শাহ আলমগীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্নি শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহ আলমগীরকে দেশের বাইরে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছিল, তার শারীরিক অবস্থা বিদেশ স্থানান্তরের মতো ছিল না।
পিআইবির প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও শাহ আলমগীর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে একাধিক মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন শাহ আলমগীর। পিআইবিতে যোগ দেয়ার আগে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের সিইও ও প্রধান সম্পাদক পদে ছিলেন।
উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এর পর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, সংবাদ ও প্রথম আলোয়।
পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে তিনি অনার্স ও মাস্টার্স করেন।
সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।
পিবিডি/এসএম