• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘শান্তি, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার বিস্তার জরুরি’

প্রকাশ:  ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার বিস্তার জরুরি। শিক্ষা অন্যতম প্রধান মানবিক অধিকার, যা জনগণকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে, শান্তির্পূণ জীবনধারণ করতে শেখায়, সর্বোপরি রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্পর্কে আলোকিত করে তোলে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে ১৪০তম আইপিইউতে ‘পার্লামেন্ট এজ প্ল্যাটফরম টু এনহ্যান্স এডুকেশন ফর পিস সিকিউরিটি অ্যান্ড রুল অব ল’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় ১৪০তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট, আইপিইউর প্রেসিডেন্ট, বিভিন্ন দেশের স্পিকার, প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং সংসদ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্যগণ জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। জনগণের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে তথা শান্তি, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সংসদের ভূমিকা অসামান্য।

স্পিকার বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার বিস্তার জরুরি। শিক্ষা অন্যতম প্রধান মানবিক অধিকার, যা জনগণকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে, শান্তির্পূণ জীবনধারণ করতে শেখায়, সর্বোপরি রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্পর্কে আলোকিত করে তোলে।

জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের আর্টিকেল ২৬ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার অধিকার সকলের। তাই বর্তমান সরকার রুট লেভেলে প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইপিইউর মতো বৃহৎ ফোরামে সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যগণ সমবেত হয়েছেন এ প্রতিফলন ঘটাতে যে, শিক্ষা বিস্তারের প্ল্যাটফর্ম হতে হবে সংসদ। শান্তির্পূণ পরিবেশ, স্থায়ী নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে শিক্ষার অধিকার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ১৯৭২ সালে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সার্বজনীন, গণমুখী, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে অপর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তৃণমূল পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা, ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।


পিবিডি/এসএম

স্পিকার,ড. শিরীন শারমিন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close