• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শুধু ফ্রিল্যান্সাররাই কোচিং করাতে পারবেন

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে দেশের সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, যেসব ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত নন, শুধুমাত্র তারাই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিং করাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন কথা আদালতে উপস্থিত থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন।

আদালতের এই বক্তব্যের ফলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে যুক্ত থাকা শিক্ষকরা কোনোভাবেই কোচিং করাতে পারবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, অন্য একটি মামলাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলাম। তখন আদালত আমাকে ডেকে জানান, কোচিং নিয়ে বিচারপতিগণ টেলিভিশনে দেয়া আমার দুটি টকশো দেখেছেন। তাই কোচিংয়ের সংজ্ঞা নিয়ে তারা (বিচারপতিগণ) বক্তব্য স্পষ্ট করে আমাকে জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাইরে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিংয়ের সাথে যুক্ত তারা তাদের কার্যক্রম চালু রাখতে পারবেন। তবে যারা কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে সরকারের করা কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ২০১২ সালের নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে সরকার অনুমোদিত নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে এরও আগে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই নোটিশ দেয় সরকার। পরে ওই নোটিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এরপর আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে মামলার ওপর জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। পরে আদালত এ রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন। এর দীর্ঘদিন পর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়।

পিবিডি/টিএইচ

হাইকোর্ট,কোচিং বাণিজ্য
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close