ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পুলিশসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জে দুই কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় দেন।
সম্পর্কিত খবর
এছাড়াও ছয়জনকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান মনির ওরফে হলুদ (৩০) ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার (৩৮)। বাকি আসামিরা হলেন- মোস্তফা মীর, আবুল হোসেন, বাবুল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, কবির হোসেন ও দিলবর হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মোস্তফা মীর, জয়নাল আবেদীন ও দিলবর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকার আইনজীবী নূরুন্নবীর মেয়ে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তার উর্মি ও তার বান্ধবী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী শহরের গাইটাল এলাকার স্কুল শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আফরোজা আক্তার সুমি ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা পরে জানতে পারেন কিশোরগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান (৩০) ও তার বন্ধু ঝালকাঠির ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার (৩৮) তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
আসামিরা তাদেরকে ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ পরে কর্মচারীদের সহায়তায় লাশ গুম করে ঢাকার দুটি ঝিলে ফেলে দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় দাফন করে।
এ ব্যাপারে আফরোজা আক্তার সুমির বাবা আবু বকর সিদ্দিক কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিলে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক দুইজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন। এছাড়াও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং বাকি আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
পিবিডি/টিএইচ